কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বেড়েছে হতাহতদের সংখ্যাও। আগামীকাল বৃহস্প্রতিবার থেকে সারা দেশে কমপ্লিট ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারিরা। আজ বুধবার সন্ধায় আন্দোলনের অন্যতম নেতা আসিফ মাহমুদ এ ঘোষনা দেন।
সহিংসতা ছড়িয়েছে সাইনবোর্ড এলাকা থেকে যাত্রাবাড়িতেও। আজ সারাদিনে এই অঞ্চলে কোন যানবাহন চলাচল তেমন লক্ষ করা যায়নি। পুরোটা দিন ছিলো থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। পুরো রাস্তা দখল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে আগুন জালাতে দেখা গেছে। শুধুমাত্র এম্বুলেন্স ছাড়া কোন গাড়ি চলতে দেওয়া হয়নি।
ঠিক সন্ধার পরপরই শনির আঁখড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সন্ধ্যার পর উভয়পক্ষে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুরিশের শর্টগানের গুলিতে ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই বছরের একটি বাচ্চা ও রয়েছে। আহতরা হলেন- ইরান, সোহাগ, বাবু মিয়া ও তার শিশু পুত্র রোহিত মিয়া এবং স্কুলছাত্র মাহিম আহমেদ।
আহত এক ব্যবসায়ী বাবু মিয়া জানান, তিনি দনিয়া এলাকায় শিশু সন্তান রোহিতকে নিয়ে বাসার ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পুলিশের ছোড়া গুলি তার ও তার ছেলের গায়ে লাগে।
আজ সারাদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও চট্রগ্রাম মহাসড়কসহ আরো বেশ কিছু মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন কোটা আন্দোলনকারিরা। শনিরআখড়ার কাজলায় হানিফ ফ্লাই ওভারের টোল প্লাজাতেও আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সর্বশেষ রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে সংঘর্ষ চলছিল। আহত স্কুলছাত্র মাহিম আহমেদের বাবা মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে কোচিং শেষ করে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়েন। এ সময় পুলিশের ছররা গুলিতে তার ছেলে আহত হন।
যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। সন্ধ্যার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কিনা, তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।