আবুবকর সিদ্দিক, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে জয়পুরহাট জেলা কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগগুলো তুলে ধরে সাংবাদিক সন্মেলন করেন জেলা প্রশাসন ।
আজ জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাকিদের প্রেস ব্রিফিং করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা লজ্জায় ত্রাণ চাইতে পারছেন না, তাদের খবর জানালে গোপনে তাদের তাদের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রেসব্রিফিংএ জানানো হয় সরকারী নির্দেশনায় সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি সমন্বিত ভাবে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ করছেন সেনাবাহীনী। সেনাবাহিনী জয়পুরহাট জেলার ৫টি উপজেলা শহরেরই জনগনকে সচেতনতা, এবং রাস্তায় কীট নাশক স্প্রে করছে । বিপনী বিতান ও মার্কেটগুলো বন্ধ রয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষ এখন আর ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না ।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড. নৃপেন্দ্রণাথ মন্ডল, যমুনা টিভির আ: আলিম, বিটিভির , মিজানুর রহমান মিন্টু, শফিকুল ইসলামসহ জেলার সাংবাদিক বৃন্দ ।
এদিকে জয়পুরহাটে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের নির্দেশনা মোটামুটি মানা হলেও গত ২দিন ধরে শহর ও শহর তলীতে মানুষের ভীর দেখা দেয়। এতে করে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে শংকা দেখা দেয়।
ফলে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে বৃহষ্পতিবার থেকে জয়পুরহাটে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ও আজ শুক্রবার সকাল থেকেই জয়পুরহাট শহর ও শহরতলীসহ উপজেলাগুলোতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রনে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী ব্যাপক টহল শুরু করে।
এদিকে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং মানুষকে ঘরে থাকতে ভ্রাম্যমান আদলাত ৩জনকে ১হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে। সকাল থেকেই সাধারণ মানুষদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে সেনা বাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে।রাস্তায় অযথা ঘোরাঘুরি না করে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছ্ ।এসময় মাইকিং করে রাস্তায় বিনা কারণে ঘোরাঘুরি না করার এবং সর্বদা মাক্স পরিধান করারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শহরের ঔষধের দোকানসহ দুই একটি কনফেকশনারী দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বৃহষ্পতিবার থেকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। অযথা সাধারণ মানুষ যাতে ঘোরাফিরা না করে সেজন্য বারবার আমরা মাইকিং করে বলে যাচ্ছি। কারণ আগামী দশ দিন খুবই বিপদজনক সময়, এই সময়টাতে মানুষকে ঘরে থাকতেই হবে।
অপরদিকে টহল চলাকালে শহরের জিরো পয়েন্টে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মটরসাইকেলে একাধিক ব্যক্তি থাকায় ১হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মোশারফ হোসাইন।