ঝালকাঠিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা চেয়ারম্যান (কাপ-পিরিচ মার্কা) পদপ্রার্থী নুরুল আমিন খান সুরুজের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে আমার ব্যাপক জনসমর্থন থাকায় একটি কুচক্রি মহল আমার বিজয়কে ঠেকাতে আমার কর্মী বান্ধব ভাই ও বোনদেরকে টার্গেট করে পরিকল্পনা মাফিক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন।
আজ আনুমানিক রাত ০৮ ঘটিকার সময় পূর্বের ন্যায় আবারও একটি হামলা করে আমার তিনজন কর্মীকে গুরুতর আহত করায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, ব্যানার এবং গাড়ী পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। একটি উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব অভিযোগের কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায়, কিছু উশসৃংখল উচ্চাভিলাষী কুলাঙ্গার ও সন্ত্রাসী বাহিনী যারা নির্বাচনে আমাকে পরাজিত করতে নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। তিনি আরও বলেন এলাকার কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোর দিকে প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। না হলে ভোটের দিন মানুষ ভয়ে ভোট দিতে ওই কেন্দ্রগুলোতে যেতে চাইবে না।
তাকে ও তার সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে কেন এমন হামলা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই অঞ্চলের বার বার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এই অঞ্চলের গরীব ও মেহনতী মানুষের দুঃখ কষ্টকে আমি সবসময় নিজের কষ্ট ভেবে তাদের সহযোগিতা করে চলেছি। আমি আমার সারাটি জীবন শত, নীতি ও আদর্শতার সহীত জীবন যাপন করার চেষ্টা করেছি। আমার উদ্ধেশ্য একটাই মানুষের জন্য বেচে থাকা এবং তাদের সেবা দিয়ে বাকিটা জীবন তাদের পাশে থাকা। তাই এ দেশের মানুষ আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে এবং আমার বিশ্বাস তারা আমাকে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন। এই অঞ্চলের মানুষের এমন ভালোবাসা ও সমর্থনকে আমার বিরোধীপক্ষ যারা আছেন তারা ভয় পায়। তাই তারা আমাকে দূর্বল করে দিতে চাইছে, এজন্য আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেছে।
শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যান্ত তীক্ষ্ণ ও সুক্ষো বুদ্ধি শক্তির অধিকারিনী। নিশ্চই তিনি ৬৪ জেলার খোজ রাখেন, কোন জেলাতে কি হচ্ছে, মুহূর্তেই তার কাছে খবর পৌছে যাচ্ছে। তিনি ঠিকই প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে প্রসাশনকে কঠোর নির্দেশ দিবেন এবং শান্তিতে ও নির্ভয়ে যেন সাধারণ মানুষ ভোট দিতে আসতে পারেন সেই ব্যবস্থা ও তিনি করবেন বলে আমি আশা রাখছি।