মধুমতি সেতু উদ্বোধনের প্রথম সপ্তাহের সাত দিনেই যানবাহন পারপার হয়েছে ২৫ হাজার ৫৮৭টি । এতে টোল আদায় হয়েছে মোট ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৫০ টাকা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, টোল আদায় ব্যবস্থার এখনও ইজারা হয়নি। গোপালগঞ্জ সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টোল আদায় করছেন। টোলের কম্পিউটারাইজ রসিদ দেওয়া হচ্ছে। মধুমতি সেতুর পূর্বপাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। কিন্তু এ সেতুটি গোপালগঞ্জ জেলা সীমানার মধ্যে পড়েছে। তাই গোপালগঞ্জ অংশে টোলপ্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এটি নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে সেতু চালু হওয়ার আগে তিন চাকার যান কালনা ঘাট থেকে লোহাগড়া ও নড়াইলে যাতায়াত করতো। ওই যানবাহনগুলো এখন কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া মোড় থেকে লোহাগড়া ও নড়াইল যাতায়াত করছে। এতে করে কমেছে যাত্রীদের দুর্ভোগ ।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সেতুর টোল হার নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কন্টেইনার বা ভারী মালামাল পরিবহনে সক্ষম যানের টোল ধরা হয়েছে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২২৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস বা পিকআপ ৯০ টাকা, সিডান কার ৫৫ টাকা, টেম্পো বা সিএনজি অটোরিকশা ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং ভ্যান, রিকশা বা বাইসাইকেল ৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।
সেতুটি , জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানি ও বাংলাদেশি ঠিকাদারেরা যৌথভাবে সেতুটি তৈরি করেছেন। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার।
সোমবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টিনন্দন এ সেতুর উদ্বোধন করেন। ওইদিন রাত ১২টা এক মিনিটি থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। এটি স্থানীয়দের কাছে কালনা সেতু নামে পরিচিত।