বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় দিনদুপুরে বাড়িতে ঢুকে উম্মে সালমা নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে ফ্রিজে রেখে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ১০ নভেম্বর (রোববার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে কোন এক সময় উপজেলা সদরের জয়পুর পাড়া মহল্লার ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’ নামে একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ উম্মে সালমা (৪৭) দুপচাঁচিয়া ডিএস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুর রহমানের স্ত্রী।
জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী মাওলানা আজিজুর রহমান ও তার ছেলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদ বিন আজিজুর রহমান মাদ্রাসায় অবস্থান করছিল। এ সময় সালমা বাড়িতে একাই ছিলেন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাসায় প্রবেশ করে ঘরের স্টিলের আলমারি ভাঙার চেষ্টা করে এবং আসবাবপত্র ও কাপড়-চোপড় এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।
আরও জানা গেছে, সাদ বিন আজিজুর রহমান ছুটির পর দুপুর ২টায় বাসায় এসে দেখেন ঘরে কাপড়-চোপড় ও আসবাবপত্র এলোমেলো। তখন তার মাকে বাসায় না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুজি করে এবং তার বাবাকে খবর দেয়। পরে তার বাবা মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এসে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ডিপ ফ্রিজের মধ্যে দেখতে পায়।তাকে উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ৫ আগষ্ট পরবর্তী দুপচাঁচিয়া ও পাশ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রামে গ্রামে সাধারণ জনতা রাতে পাহারা দিচ্ছেন।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আমার সময়-কে বলেন, দুপচাঁচীয়া থানাপুলিশ সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন জন ডাকাত ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা। জয়পুরপাড়ার ঘটনায় তিনি বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। হত্যার ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা না হলেও পুলিশ তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান তিনি।