যশোরের বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তন্দ্রা নামে এক নারী ও তার বোন তিথি-বোন জামাই মামুনকে পেটে লাথি মারা সহ এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর জখম করেছে ৩ সন্ত্রাসী। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার সময় বেনাপোল গাজীপুর ২নং গোডাউনের সামনে তন্দ্রার বাড়িতে এসে তাকে সহ তার বোন-জামাইকে মেরে গুরুতর জখম করে রাজন, শাওন ও ইমন নামে ৩জন সন্ত্রাসী। এ হামলার ঘটনায় ওইদিন রাতেই তন্দ্রা থানায় উপস্থিত হয়ে রাজন, শাওন ও ইমনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, সন্ত্রাসীদের প্রকাশে এলাকায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ দায়ের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীরা আটক না হওয়ায় এলাকাবাসীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। হামলাকারী সন্ত্রাসী রাজন ও শাওন বেনাপোল পোর্ট থানার নামাজগ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। আর তাদের চাচতো ভাই ইমন আজিবার রহমানের ছেলে।
তন্দ্রা জানান, তার ছোট বোনের জামাই মামুন রাজন ও তার বাবা হাবিুবর এর কাছে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও অফিসে ব্যবহারের চেয়ার-টেবিল পাই। কিন্তু দীর্ঘদিন রাজন ও তার বাবাকে বলা স্বত্ত্বেও তারা নানা তালবাহানায় ঘোরাতে থাকে। অনেক বার এক জায়গায় বসে সিদ্ধান্ত হয় তারা পাওনা টাকা ও আসবাবপত্র দিয়ে দিবে। কিন্তু তারা তা দেয়নি। ঘটনার দিন ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৭ টার সময় মামুনের সাথে রাজনের দেখা হলে, মামুন রাজনের কাছে পাওনা টাকা ও আসবাবপত্র চায়। এতে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মামুন বাড়ি চলে আসলে।
সন্ত্রাসী রাজন, শাওন ও ইমন আমাদের বাড়ি এসে গেট খুলে ঘরে ঢুকে আমার পেটে লাথি মারে। সেই সাথে আমাকে, আমার বোন ও বোন জামাইকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। তন্দ্রা আরো বলেন, আমি গর্ভবতী। তারা আমার পেটে লাথি মেরেছে। আমার পেটের বাচ্চার কি অবস্থা বলতে পারছি না। আজ রির্পোট করিয়েছি। রির্পোট হাতে পেলে বাচ্চার কি অবস্থা জানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী মধু মিয়া বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে ৩ যুবক তন্দ্রাদের বাড়ি এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমি ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, এসময় তারা উচ্চস্বরে বলতে থাকে থানায় গিয়ে কোন লাভ হবে না। তন্দ্রার বোন তিথি বলেন, পাওনা টাকার বিষয়ে রাজনের কাকা আজিবারের কাছে অভিযোগ দিলেও তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু করতে পারবো না। তারা আমার কথা শোনে না। এ বিষয়ে ইমন বলেন আমার বাবাকে মামুন গালাগালি করেছে। এমন কথা শুনে আমরা তাদের বাড়ি গিয়ে মেরে এসেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ থানায় দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য এর আগেও ইমনের বিরুদ্ধে ছুরি মেরে ছিনতাই করা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে পোর্ট থানায়।