মোঃ ছিদ্দিক, ভোলা প্রতিনিধি নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এপ্রিল মাসকে আমাদের জন্য খুবই দুঃসময়ের মাস হিসেবে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ দুর্যোগে ভোলা প্রধান ডাক বিভাগে সামাজিক নিরাপদ দুরত্ব বজায় না রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব চলাকালীন গত ৫ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টার জন্য সীমিত আকারে বিভিন্ন পরিষেবা দেয়া শুরু করছে ডাক বিভাগ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো, গত ৫ এপ্রিল থেকে সব সাধারণ ডাকঘর (জিপিও) এবং প্রধান ডাকঘর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পোস্ট অফিসের ই-কমার্স, মোবাইল মানি অর্ডার, পার্সেলসহ অনান্য পরিষেবার জন্য কাউন্টারগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা হবে এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সরঞ্জামগুলো
পার্সেলের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে। তবে এ সময়ের মধ্যে পার্সেল করা কোনো পণ্য বাড়িতে বিতরণ (হোম ডেলিভারি) করা হবে না। গ্রাহকরা পোস্ট অফিসের কাউন্টার থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ডাকঘর থেকে তাদের ভাতা তুলতে পারবেন। জিপিও এবং প্রধান ডাকঘরের সব কার্যক্রম রেডিয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
এছাড়া পোস্ট অফিসের কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ সব বকেয়া পরিশোধের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু ভোলা পোস্ট অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অফিস ভর্তি গ্রাহক সামাজিক নিরাপদ দুরত্ব বজায় না রেখে লেনদেন করছেন।
এদের মধ্যে বয়স্ক গ্রাহকই বেশি। অনেক গ্রাহকের মাস্ক কিংবা হ্যান্ড গ্লোফস নেই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলা প্রধান ডাকঘরের সহকারি পরিদর্শক গোলাম মাওলা ও মহিউদ্দিন বলেন, আমরা চেস্টা করছি সবাই জেন নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা লেনদেন করে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেনা।
ভোলা প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা সীমিত আকারে লেনদেন করছি। তবে গ্রাহকগণ যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে তা আমরা নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করছি।
ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোঃ মিজানুর রহমান টেলিফোনে বলেন, আমরা সীমিত আকারে লেনদেনের চেস্টা করছি। যদি সম্ভব না হয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনে বন্ধ করে দিবো।
দেশের এই জরুরী অবস্থার মধ্যে এভাবে চলতে থাকলে করোনা দ্রুত বিস্তার লাভ করবে বলে ধারনা করছে সুশীল সমাজ। করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলে তারা মনে করেন।