মোঃ মাসুদ পারভেজ,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ২০শে মে বুধবার রাতে মোংলায় জ্বলোচ্ছাস এবং ধমকা হাওয়ায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, ডুবে গেছে ২ হাজার চিংড়ি ঘের,সারে ৬ শো ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১৫ শো মানুষ কে দূর্গত ঘোষনা।
মোংলার কানাইনগর, দক্ষিন কাইনমারী, কলাতলা, আমতলা, কেয়াবুনিয়া, সিন্দুরতলা,কোলাবাড়ী,জয়মনি, শেলাবুনিয়া, বিদ্যারবাহন,মৈদাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা জানান,গত বুধবার বিকেল থেকে সারারাত সাইক্লোন সেন্টারে তারা অবস্হান করে।
সকাল বেলা বাড়িতে এসে দেখে জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়ি সহ মালামাল ভেসে গেছে এবং প্রবল ঝড়ে অনেকের বাড়ি সম্পূর্ন এবং আংশিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের অভ্যন্তরেও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃরাহাত মান্নান জানান,ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর প্রভাবে পশুর নদীর তীরবর্তী গ্রামসহ মোংলা উপজেলার সবমিলিয়ে সাড়ে ৬শো ঘর বাড়ি সম্পর্ন এবং আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইটের সোলিং রাস্তাও অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ জেড এম তৌহিদুর রহমান বলেন,চিংড়ি অধ্যুষিত মোংলা ২ হাজার চিংড়ি ঘের সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। এর ফলে চিংড়ি চাষিরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অন্য দিকে সুন্দরবনে পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান,সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বেশ কয়েক জায়গায় বন বিভাগের জেটি এবং ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবনের ভেতরে মিষ্টি পানির পুকুর প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বন্য প্রহরীদের জব্দকৃত কাঠ জোয়ারের তেরে ভেসে গেছে। অল্প কিছু বৃক্ষরাজির ক্ষতি হয়েছে।
তবে বন্যপ্রানীর ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ এবং ক্লিংকারবাহী কার্গোডুবির খবর পাওয়া গেছে।এছাড়া মোংলায় প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায় নি।