চাঞ্চল্যকর আত্তহত্যার ঘটনায় নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো দেশটাকে। একজন প্রতিষ্ঠিত সিনিয়র সিটিজেন কতটা একা হলে এভাবে অভিমান করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে পারে। খুব অল্প সময়ের লাইভে তিনি তাঁর জীবনের সামান্যতম ঘটনা হয়তো বলে যেতে পেরেছে। আরো অনেক না বলা কথা না বলেই হয়তো চির বিদায় নিলেন ব্যবসায়ী ও চিত্রনায়ক রিয়াজের শশুর মহসিন সাহেব।
শশুরের এমন মৃত্যু যেন তার কাছে অবিশ্বাস এর মত একটি ঘটনা। রিয়াজ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এমনভাবে তাঁর চলে যাওয়া। কিভাবে একজন তরতাজা মানুষটি এভাবে সবাইকে ছেড়ে যেতে পারে। শশুরের জানাযার নামাজের সময় কেঁদে কেঁদে এভাবেই বলছিলেন রিয়াজ।
আত্তহত্যাকারী ব্যবসায়ী মহসীন ছিলেন জমিদার পরিবারের সন্তান। প্রথম থেকেই তাদের অর্থ প্রতিপত্তি ছিলো। মহসিন সাহেবের বাবার প্রচুর অর্থ থাকলেও মহসীন সাহেবের ভাষ্যমতে তাকে তাঁর বাবাও সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেছেন। কিন্তু তিনি কখনো থেমে থাকেননি, নিজ পরিশ্রমে মেহনত করে অনেক অর্থ কড়ি করেছিলেন। সন্তানদেরকেও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়েছেন।
কিন্তু তার কথামতে বোঝা যায় তিনি ছিলেন হতাশ, ব্যবসায়ীকভাবে নিজ আত্তীয় স্বজন থেকে হয়েছেন প্রতারিত, বন্ধু বান্ধব যারা ছিলেন তারাও করেছেন গাদ্দারি। বিশ্বাস করে তিনি শুধুই ঠকেছেন। নিজ পরিবার থেকেও হয়েছেন অবহেলিত। এত কিছু থাকার পরেও যেন তাঁর কিছুই ছিলোনা। স্ত্রী-সন্তান সবাই থাকতেন বাহিরে তিনি একাই বাংলাদেশে থাকতেন।
একা একাই রান্না বান্না ও বাজার করতেন, কখনো হোটেল থেকে খাবার কিনে আনতেন। তিনি একটা অসহায়ত্ত জীবন যাপন করছিলেন। এই অসহায়ত্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন ফিরে পেতে আত্ত-হত্যাকেই বেছে নিলেন। গতকাল রাজধানীর বাসার নিজ ফ্লাট খেকে ব্যবসায়ী মহসীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মূত্যুর আগে তিনি ১৬ মিনিট ফেসবুক লাইভে ছিলেন। লাইভে থাকা অবস্থায়ই নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে না ফেরার দেশে পারি জমান ৫৮ বছর বয়সী এই সিনিয়র নাগরিক।