মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাস ভবন ধানমন্ডির ৩২নম্বরে শ্যামপুর থানা বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন (শান্ত)-এর নেতৃত্তে পুস্পক স্তবক অপর্ন করা হয়।
প্রায় দুই শতাধিক হকার্স লীগের নেতাকর্মী নিয়ে সকাল ১০টা ৩০মিনিটের দিকে ধানমন্ডির ৩২নম্বরে মহান স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
এসময় দেখা যায়, আরো আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ফুলের শুভেচ্ছা দিতে বঙ্গবন্ধুর ৩২নম্বর বাড়িতে এসে জড়ো হতে থাকে।
শ্যামপুর থানার হকার্স লীগের আরো নেতাকর্মীরা যারা ছিলেন, মোঃ আজিজ আকন, সাংগাঠনিক সম্পাদক, জাতীয় হকার্স লীগ শ্যামপুর থানা, মোঃ আলমগীর হোসেন হকার্স লীগ নেতা, মোঃ মোশারফ হোসেন শ্রমিক নেতা, শ্যামপুর থানা ও আরো অনেকে।
একান্ত সাক্ষাৎকারে হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন (শান্ত) বলেন,
স্বাধীন বার্তা প্রতিবেদকঃ আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনাদের পূর্ব প্রস্তুতি কি ছিলো?
সাধারণ সম্পাদকঃ দেখুন আজ ২৬মে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে এক আনন্দময় মূহুর্ত। কারণ আজকের এই দিনটিতেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাই আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি ছিলো বিশাল কিন্তু আমরা আমাদের ইচ্ছেমত আজকের দিনটি পালন করতে পারিনি।
সারাদেশে করোনার প্রাদূর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে সল্প পরিসরে আমরা কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী ও শ্রমিকদের নিয়ে আজকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছি।
স্বাধীন বার্তা প্রতিবেদকঃ আপনিতো দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আওয়ামীলীগের আরো বিভিন্ন সংগঠন থাকতে আপনি জাতীয় (হকার্স লীগ) কেন বেছে নিলেন?
সাধারণ সম্পাদকঃ আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি এবং তাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। জাতির পিতা সবসময়-ই হকার অর্থাৎ যারা সাধারণ শ্রমিক তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সারাজীবন কাজ করে গেছেন।
কিন্তু তিনি তার কাজগুলো সব শেষ করে যেতে পারেননি। তাঁর জীবনের গুরুত্তপূর্ণ ১৪টি বছরই এই মানুষটা জেলের ভেতর কাটিয়েছেন। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সামান্য কয়েকটা বছর দেশের রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ত পালন করেছেন।
হঠাৎ ১৫ আগষ্টের এক কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে সহ তার পুরো পরিবারকে সেনাবাহীনির কিছু উচ্চাভিলাসী কতিপয় সন্ত্রাসীর দল নির্মম ভাবে হত্যা করার কারণে তাঁর কাজগুলো অসমাপ্তই রয়ে গেছে।
কিন্তু ভাগ্যেস তাঁর সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেচে যান। আজ তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো তিনিই শেষ করে চলেছেন আর আমরা তারই দিক নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি।
তাই তার এই অসমাপ্ত কাজগুলোকে আমরা কিছুটা হলেও শ্রমিকের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কল্যানের জন্য যদি কিছুটা কাজ করতে পারি আমি মনে করি জাতির পিতার আত্তা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। তিনি বেঁচে নেই কিন্তু তার স্বপ্ন গুলোতো ধীরে ধীরে আমাদের মত হাজারো নেতাকর্মীর দ্বারা পূরণ হতে থাকবে। এভাবেই দেশটা একদিন সুখী দেশে পরিণত হবে বলে আমি মনে করি।
স্বাধীন বার্তা প্রতিবেদকঃ আচ্ছা ভবিষ্যতে আপনি এই সংগঠনের জন্য আপনার কি দায়ীত্ত রযেছে বলে আপনি মনে করেন?
সাধারণ সম্পাদকঃ আপনি হয়তো জানেন যে, জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতীয় তাবাদের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপ্ন ছিলো অনেক বড়।
তিনি সবসময় তার সহকর্মীদের খোজ রাখতেন এবং তাদের জন্য সবসময় কিছু করতে চাইতেন। তিনি কখনো নিজের দলের নেতা কর্মীদের ছোট করে দেখতেন না। তার চোখে পড়ে যাওয়া সবাই আজ কোন না কোনভাবে প্রতিষ্ঠিত কারণ তিনি তাদের সঠিক পথ দেখিয়ে গেছেন।
ঠিক তেমনি করে আমার সংগঠনের প্রত্যেকটা কর্মী এবং সাধারণ হকার্স শ্রমিকদের নিয়েও আমার অনেক সপ্ন রয়েছে্। আমিও তাদেরকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ও তাদেরকে আমার পাশে রেখে তাদের কর্মসংস্থানের সুন্দর একটি ব্যবস্থা করার দায়ীত্তটা ও আমারই। আমি আমার কর্মীদের জন্য সবসময় কাজ করতে চাই।
আমি জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত তীক্ষনো বুদ্ধি শক্তির অধিকারিনী ঠিক তিনি যেমন, ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার সপ্ন দেখেছেন এবং আমি জানি তিনি অবশ্যই পারবেন।
আমিও তার এই সপ্নের সাথে একত্ততা প্রকাশ করে দেশকে কিভাবে সামনের দিকে এগিযে নিয়ে যাওয়া যায় সেই দিকটা নিয়ে কাজ করতে চাই। ধন্যবাদ আপনাকে, স্বাধীন বার্তার সাথে থাকার জন্য।
একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেনঃ স্বাধীন বার্তা পত্রিকার, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তরিকুল ইসলাম।