ফেনী ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্থায়ী ক্যাম্পাস সহ পূর্ব ঘোষিত ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন সহ সকল ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গনে দাবি বাস্তবায়নে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ১৫ দফা দাবির মধ্যে কয়েকটি দাবি পূরণ হলেও উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে যথাযথ কাজ করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা আরো বলেন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস, নিজেদের বাস সেবা চালু, লাইব্রেরীতে প্রয়োজনীয় বই সংযুক্ত করা, ছাত্র সংসদ গঠন ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় জরিমানা বন্ধ সহ অন্যান্য দাবিগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। দাবি না মানার কারণে সকল ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
কাজী আল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের যে দাবিগুলো উপস্থাপন করেছি সেই দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো পূরণ করতে পারেনি। আমরা আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই। পাশাপাশি দূর দুরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু হোক এটাও আমরা চাই।
সজীব নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস আমাদের প্রাণের দাবি। দীর্ঘদিন যাবত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে না। আমরা শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস নয়, সার্বিক শিক্ষাগত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা সকল ধরনের শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছি।
ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো উপস্থাপন করেছে তার মধ্যে কিছু দাবি আমরা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ, বাস সার্ভিস চালু ও অন্যান্য দাবিগুলোর বিষয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।