ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামে বিবদমান দুটি পক্ষের সংঘাতের ঘটনাকে বিএনপির দুটি গ্রুপের সংঘর্ষ বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ ও এঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকুকে জড়িয়ে রাজনৈতিক চরিতার্থ হাসিলে উদ্দেশ্যমুলক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপি ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় মধ্যপাড়া হাসামদিয়া সর্বজনীন নাথ মন্দির থেকে মিছিলটি বের হয়ে ভাঙ্গা বাজার বাস স্ট্যান্ড হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে নাট মন্দির সংলগ্ন সড়কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা শামা ওবায়েদ ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিমকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিবৃতি দেওয়ার ঘটনাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এনে ভাঙ্গা উপজেলার কৃষকদলের সভাপতি সাঈদ মুন্সীকে বহিষ্কার ও সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর আস্থাভাজন নেতা শহিদুল মুন্সীর বিচার দাবী করেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সদস্য আলমগীর কবিরাজ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম রোমান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ছাত্রদল নেতা আহসানুল মিশান, রামিম মোল্লা,শেখ মেহেদী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সজিব মাতুব্বর ও যুবদল নেতা রনক মুন্সী প্রমূখ।
প্রসঙ্গত কারণে উল্লেখ্য গতকাল রোববার সকালে ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর আস্থাভাজন নেতা নিরু খলিফার নেতৃত্বে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজনের উপর হামলা চালানো হয়।এহামলায় মহিলাসহ কমপক্ষে ২৫জন আহত হন।
নিক্সন চৌধুরীর সাথে তার পক্ষে গত ১৭ বছর বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে ভোল্ট পাল্টিয়ে সদ্য বিএনপির ঘরে উঠে আসছে এমন কিছু নেতাকর্মী বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিমকে জড়িয়ে স্থানীয় কৃষকদলের সভাপতি মিডিয়ার কাছে আপত্তিকর বক্তব্য তুলে ধরার প্রতিবাদ জানাতে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।