1. info@dailyshadhinbarta.com.bd : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

নোবিপ্রবিতে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষককে পূনর্বহালের দাবিতে মানব বন্ধন

রবিউল আউয়াল, বিশ্ববিদ্যালয় [নোয়াখালী] প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আ. স. ম. শরিফুর রহমানকে চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহাল করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রানীবিদ্যা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকাল ৪টায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে”চেয়ারম্যান চাই না পরিবর্তন, প্রয়োজনে করবো অনশন”, “অপপ্রচার আঁধারে নয়, ন্যায়ের পথে আলোর জয়”, “আমাদের দাবি একটাই, শরীফ স্যারকে চেয়ারম্যান চাই” সহ নানান দাবি তুলে ধরেন।

প্রানীবিদ্যা বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহিমা আলম রিফা বলেন, “চেয়ারম্যান স্যারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। বিভাগের চলমান পাঁচটি ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থীই জানে না, শরীফ স্যারের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কীভাবে এলো। আমরা চাই এর সঠিক তদন্ত হোক এবং স্যার তার পদে বহাল থাকুন।”

একই ব্যাচের শিক্ষার্থী তাওসিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্যারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সমর্থন করি না। প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা একমত নই। ফ্যাক্ট চেকিং ছাড়াই কেন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিল, তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”

অপর শিক্ষার্থী আসিক মণ্ডল বলেন, “শরীফ স্যারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। যতদিন মিথ্যা অভিযোগের তদন্ত না হবে, ততদিন আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করবো।”

উল্লেখ্য গত ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে নোবিপ্রবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আ.শ.ম শরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ২টি অভিযোগপত্রে মোট ৩৮টি অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন বিভাগটির শিক্ষকবৃন্দ।

ড. আ.স.ম.শরিফুর রহমানে বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের প্রতি অবমাননাকর ব্যবহার, বিভাগের প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করা, নোটিশ ছাড়াই একাডেমিক কমিটির মিটিং ডাকা এবং মার্ক টেম্পারিংসহ নানা অভিযোগ উঠে এসেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Licence No- TRAD/DSCC/210965/2019 and applied for registration.

Community Verified icon
 

Community Verified icon