নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লব ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আজহারুল মিজানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, শুরুতেই স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবে শহিদদের, আল্লাহ তাঁদের বেহেশত নসীব করুন। যাঁরা আহত অবস্থায় রয়েছেন, তাঁদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। চব্বিশের এই বিপ্লবে আমরা বড় একটি প্রজন্মকে হারিয়েছি, তবে তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ পেয়েছি। আমাদের উচিত এই সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে গত ১৬-১৭ বছরে দুর্নীতি, নিয়োগ অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় অনেক সাংবাদিক নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নোবিপ্রবির সাংবাদিক বন্ধুরাও এর ব্যতিক্রম নন, অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সেমিনারের মূখ্য আলোচক সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব জনাব ফয়েজ আহম্মদ বলেন,জুলাই বিপ্লব তখনই সম্ভব হয়েছে, যখন সবার চাওয়া এক হয়ে গেছে। একজন সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব হলো নিজ প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা। সাংবাদিকতার মাধ্যমে অনেক মহৎ কাজ করা সম্ভব।
গত ১৬ বছর সাংবাদিকদের যেভাবে কাজ করার কথা ছিল, বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। তবে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সাংবাদিকতার জন্য কারও গলা চেপে ধরার সুযোগ নেই, তাই এই সময়টা সাংবাদিকতার জন্য উপভোগ করুন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম মাসুদ, জনাব কামারুজ্জামান ও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা জনাব রাহী রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জনাব জাহিদুল ইসলাম ফারুক, আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন মিয়া।
সেমিনারে নোবিপ্রবি ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম জুলাই বিপ্লব নিয়ে সম্পাদিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শিত ডকুমেন্টারি নিয়ে ড. আবদুল কাইয়ুম মাসুদ বলেন, এমন ডকুমেন্টারি অন্তত প্রতি মাসে একবার প্রদর্শন করা প্রয়োজন। আমরা বাঙালিরা সবসময় অতীতকে ভুলে যায়।
আয়োজিত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যম গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।