গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে সতর্ক করে দেয়। মঙ্গলবার (১৮মার্চ) দুপুরে মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন জানান, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি উঠায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। অন্যথায় বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে ২০১১ সালের পশু জবাই আইনে গ্রেফতার ও জেল জরিমানার কথা জানিয়ে তাকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যতীত এবং লাইসেন্স ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দন্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে এক বছরের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।
অভিযানকালে স্থানীয়রা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় দুবাই ফেরত আ ন ম নুরুল্লাহ মামুন, তার বন্ধু শফিকুল ইসলামকে নিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি প্রচলন শুরু করেন । ঘোড়ার মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় আড়াইশ টাকা কেজির মাংস তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছিল।
ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারিত হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িকে সতর্ক করে দেয়।