 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপি থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে চলমান সমালোচনার বিরুদ্ধে অত্যন্ত জোরালোভাবে অবস্থান নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে “ভুয়া ডিগ্রি“ সংক্রান্ত যে অপপ্রচার ও বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি সেটিকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষণা ও অর্জন:
ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী নিশ্চিত করেছেন, তিনি আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির তৎকালীন বাংলাদেশে অনুমোদিত শাখা থেকে এই ডক্টর ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে একজন রিসার্চ প্রফেসরের তত্ত্বাবধানে তিনি তাঁর গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল দেশপ্রেম ও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট নিয়ে: “১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান।”
তিনি আরও আবেগ ও গর্বের সাথে জানান, গবেষণার একটি সংস্করণ তিনি সেই সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিলেন এবং তিনি এই অর্জনকে আন্তরিকভাবে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
আইনগত ভিত্তি ও সনদের বৈধতা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডিগ্রির বৈধতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে ড. হিলালী যুক্তি দিয়ে বলেন, ইউজিসি কর্তৃক কোনো প্রতিষ্ঠানের শাখা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি বা অনিয়মের কারণে কার্যক্রম বন্ধ হলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এর জন্য কোনো প্রাক্তন শিক্ষার্থীর অর্জিত সনদের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীকালে অনিয়মের কারণে কোনো কলেজের অ্যাফিলিয়েশন বাতিল হলেও, পূর্বে সেখান থেকে ডিগ্রি অর্জন করা শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল হয় না। ডিগ্রি অর্জনের সময় প্রযোজ্য নিয়মনীতি, গবেষণা অনুমোদন এবং তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপকের অধীনে গবেষণা সম্পন্ন হওয়ায় তাঁর এই ডিগ্রির বৈধতা অটুট। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কখনো কোনো পিএইচডি ডিগ্রিধারীর অর্জিত ডিগ্রি বাতিল করেনি।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ:
বিএনপি নেতা ড. হিলালী এই অপপ্রচারের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মনে করেন। তিনি স্পষ্ট করেন, তাঁর পিএইচডি ডিগ্রিকে কেন্দ্র করে এই বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতই নয়- এটি একজন নিষ্ঠাবান গবেষক ও শিক্ষাবিদের প্রতি সরাসরি অবমাননা।
তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ক্ষমতার মোহে যারা অন্যের প্রতি বেইনসাফি করতে তৎপর হয়েছেন, তাদের প্রতি কোনো প্রতিশোধ কামনা না করে শুধু প্রার্থনা করেন, “আল্লাহ যেন ইনসাফের মাধ্যমে যা প্রাপ্য, তাই তাকে বুঝিয়ে দেন। আমীন।”
নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভার বাদে আঠারবাড়ী এলাকার কৃতি সন্তান ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।