নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘে ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত শান্তি সমাবেশকে ঘিরে ইউএসএ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সগৌরবে তুলে ধরতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রবাসী নেতা-কর্মীরা।
আয়োজনের সামনের সারিতে রয়েছেন বিএনপি-এর ব্রঙ্কস ব্যুরো (পশ্চিম), নিউইয়র্কের আহ্বায়ক, আনোয়ারুল আলম ভূঁইয়া।
তিনি প্রায় ৩০টি জাতীয় পতাকা নিয়ে এই সমাবেশে যোগদানের জন্য একটি বিশাল বহরের নেতৃত্ব দেবেন।
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কৃতী সন্তান আনোয়ারুল আলম ভূঁইয়া দীর্ঘকাল ধরে সপরিবারে ইউএসএ প্রবাসী। তিনি জাতিসংঘের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সগৌরবে তুলে ধরার জন্য এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। জানা গেছে, জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই শান্তি সমাবেশে বাংলাদেশের পতাকা প্রদর্শনের লক্ষ্যে নেতা-কর্মীরা রাতভর কাজ করছেন।
প্রস্তুতি প্রসঙ্গে আনোয়ারুল আলম ভূঁইয়া বলেন, “এই সমাবেশটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সংহতি জানাতে এবং একই সঙ্গে প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সেখানে উপস্থিত থাকব।” তিনি নিশ্চিত করেন যে, মোট ৩০টি জাতীয় পতাকা তিনি নিজ হাতে তৈরি করেছেন।
রাজনৈতিক পরিচিতি: কেন্দুয়া থেকে ৯০’র আন্দোলন ব্রঙ্কস বিএনপি-এর এই নেতা একসময় কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা ছিলেন, পাশাপাশি ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ শাখার সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবেও পরিচিত। এছাড়াও, তিনি ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতন আন্দোলনের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন।
উল্লেখ্য, তাঁর বাবা মরহুম আব্দুছ সাত্তার কালা মিয়া সাহেব ছিলেন কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এবং কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠালগ্নের নেতা।
ট্রেনযোগে দেড় শতাধিক কর্মীর যোগদান:
আনোয়ারুল আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ব্রঙ্কস বিএনপি থেকে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন নেতা-কর্মী সকালে ট্রেনযোগে সমাবেশস্থলে যোগ দেবেন। সমাবেশসূচি অনুযায়ী, ড. ইউনূস দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে বক্তব্য রাখবেন। প্রবাসী বিএনপি নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত থেকে তাঁকে স্বাগত জানাবেন ও অনুষ্ঠানটি উদযাপন করবেন।
তিনি আরও জানান, এই সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ নির্বাহী কমিটির অনেক সদস্যও নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। তাঁদের সকলের লক্ষ্য হলো শান্তিপূর্ণভাবে ও সফলভাবে এই শান্তি সমাবেশটি সম্পন্ন করা এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরা।
প্রবাসী বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা, তাঁদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকে আরও জোরালো ও শক্তিশালী করবে।