নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে দুই চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের চারিতলা গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চারিতলা গ্রামের বাসিন্দা আরাধন এবং শামসুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে তীব্র বিরোধ চলে আসছিল।
শনিবার দুপুরে সেই দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, সংঘর্ষে মোট ১৪ থেকে ১৫ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন— আরাধন (৪৫), তার স্ত্রী নূরনাহার (৭০), মামুদা (৩৫), হেমেলা (৩৮), শামসুল ইসলাম (৪৩), দ্বীন ইসলাম (৩৫) এবং ছোটন ওরফে লিটন (৩৫) সহ আরও অনেকে। সংঘর্ষের পরপরই আহতদের দ্রুত কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
কিন্তু আঘাতের তীব্রতা বেশি থাকায় এবং ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় মোজাফফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধের জেরেই এই সংঘাত। উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।”
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তারা সংঘর্ষের খবর পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তিনি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”