নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের বিরান্দরি বিল থেকে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গলিত ও অজ্ঞাত একটি লাশ/কঙ্কাল উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবারের ধারণা, এটি নিখোঁজ যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম শামীমের মৃতদেহ। তবে পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
উদ্ধারকৃত কঙ্কালটি শামীমের বলে দাবি করেছেন তার বড় ভাই ও মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, শামীমের পরিহিত গেঞ্জির কলার দেখে তিনি এটি শনাক্ত করেছেন। তিনি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কেন্দুয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত দেহটি মূলত কঙ্কালসার। এটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া সনাক্ত করা সম্ভব নয়। তাই কঙ্কালটি নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজ শামীম ছিলেন গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদল নেতা এবং মনকান্দা গ্রামের মো. আক্কাছ আলীর ছেলে।
মামলা ও তদন্ত:
শামীম নিখোঁজ হওয়ার পর গত ২৫ জুলাই তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০ জন নামোল্লেখ করতঃ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করে আদালতের আদেশে থানায় মামলা (৩৬৪/৫০০/৫০৬(২)/৩৪ ধারায়) রুজু করেন। এর আগে ৩ জুলাই তিনি থানায় একটি জিডিও করেন।
গত ৫ জুলাই কেন্দুয়া থানা পুলিশ শামীমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শামুকজানী নদীর সেতির নিচ থেকে উদ্ধার করে। মামলার এক আসামি গত ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার হলেও, বাকি ১৯ জন আসামি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হাইকোর্টের জামিনে আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের পরই লাশটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।