 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নরকীয় হামলার শিকার হলেন এক ব্যক্তি। ‘লাঠি, রামদা ও বটির কোপের আঘাতে মারাত্মক রক্তাক্ত যখম ও হত্যার চেষ্টা’র এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মুন্সীগঞ্জে জেলার শ্রীনগর থানার উত্তর রাঢ়ীখাল এলাকায় রবিবার(২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাত ৯’৩০ টায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মারাত্মক আক্রমণের শিকার মোঃ মেহেদী হাসান স্বপন। সন্ত্রাসী প্রভাব খাটিয়ে শাহাবুদ্দিন (দেনাদার) ও ৪/৫ মিলে পাওনাদার স্বপনের নিজ বাড়ির উঠানে রামদাও দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত ও হত্যার চেষ্টা করে। স্বপনের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
স্বপনের স্ত্রী মনি আক্তার (৩৫) জানান, আমার স্বামী মোঃ মেহেদী হাসান স্বপনের কাছ থেকে মোঃ শাহাবুদ্দিন (৪৫) পিতা: আকবর হোসেন ও রুনু বেগম (৩৮) প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর আগে এক লক্ষ টাকা ধার নেয় মেহেদী হাসান স্বপনের কাছ থেকে। সেই টাকা আজকে দেবো কালকে দেবো বলে নানা রকম তাল বাহানা করে আসতেছে ৪-৫ বছর যাবৎ। বর্তমানে টাকা চাইতে গেলে গালিগালাজ ও মারধর করতে আসে।
বর্তমানে তাদের জায়গার উপর দিয়ে আমি বিদ্যুতের লাইন আনি এখন আমাকে তাদের বাড়ির উপর দিয়ে আমাকে তাদের বাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন চালাতে দিবে না বলে কারণে-অকারণে গালিগালাজ করে। বিদ্যুতের লাইন চালাতে হলে তাকে টাকা দিতে হবে নতুবা আমার বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দেয়।রাত ৯’৩০ টার সময় বিদ্যুতের তার নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলাকালীন সময় বিবাদীর পক্ষে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চার জন ব্যক্তি এসে আমারকে মারাত্মক গালিগালাজ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক নীলা জখম করে।
ওই সময় আমার স্বামী কাজে থেকে বাসায় এসে আমার এই অবস্থা দেখে আমাকে ছাড়াতে গেলে শাহাবুদ্দিন ও ৪/৫ লোক মিলে আমার স্বামীকে লাঠিপিটা করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। পরে রামদা দিয়ে আমার স্বামীকে বুক-পিঠে ও হাতে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত যখম করে।
এসময় একজন ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আলমারি হতে নগদ ৬০,০০০ টাকা নিয়ে যায়। এই ঘটনা পুলিশ জানলে বা থানায় মামলা করলে ‘তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো’ বলে হুমকি দেয়। আমাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসি এসে আমাদের উদ্ধার করে ও আমার স্বামীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসার জন্য পাঠান।
পাওনা টাকা ফেরত চাওয়া তো দূরের কথা উল্টো ‘প্রাণের মেরে ফেলার’ হুমকির ভয়ে আমরা চুপ ছিলাম। আমরা এই ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে জানাইনি তাৎক্ষণিকভাবে। কিন্তু তাদের অত্যাচার দিনের পর দিন আমাদের উপর বেড়েই চলেছে, যা আর আমরা সহ্য করতে পারছি না। তাই সকল তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা আইনের সহযোগিতা ও আশ্রয় নিতে বাধ্য হই।
ভুক্তভোগীগণ শ্রীনগর থানায় মামলা করতে গেলে শ্রীনগর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, আদালতে গিয়ে মামলা করেন। পরে তারা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধারা:৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩৭৯/৩০৭/৩৫৪/৫০৬(||) দঃ বিঃ -র একটি মামলা রিজু করেন।