নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় নিখোঁজ হওয়ার তিন মাস পর যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম শামীমের কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যদিও কঙ্কালটি শামীমের কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি, তবু পরিবার ও স্থানীয়রা পোশাক দেখে কঙ্কালটি তাঁর বলে দাবি করে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জানাজা সম্পন্ন করেছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় গণ্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
উদ্ধার ও পরিবারের অভিযোগ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে গণ্ডা ইউনিয়নের বিরান্দরি বিল এলাকা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে পুলিশ। শামীমের পরিবার পোশাক দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন। পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঘুষ লেনদেনের বিরোধের জেরেই শামীমকে হত্যা করা হয়েছে। শামীমের বাবা ও বড় ভাই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন।
পুলিশের বক্তব্য:
তবে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, কঙ্কালটি শামীমের কিনা তা ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গণ্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদল নেতা শামীম গত ২ জুলাই রাতে পাহাড়পুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন।