দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অম্রবাড়ি গ্রামে এক বর্গা চাষীর ফসল ও ২ শতাধিক আম ও কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত দুই বছর আগে ২৬ শতক জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে অম্রবাড়ি গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।
শুকুর আলী তার রোপনকৃত ২ শতাধিক কলার গাছ ও প্রকৃত জমির মালিক একই গ্রামের বিজয় চন্দ্র মন্ডল এর ছেলে দেবাশীষ চন্দ্র গত দুই মাস আগে প্রায় শতাধিক আমগাছ রোপন করেন। হঠাৎ করে গভীর রাতে তাদের আম ও কলাগাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
৫ নং খয়ারবাড়ি ইউপি’র ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত কিয়াম উদ্দিন মুন্সি এর ছেলে ফজলার মুন্সি দীর্ঘদিন যাবত ওই জমি নিজের বলে দাবি করে আসছে।
বর্গাচাষী শুকুর আলী বলেন আমি গত দুই বছর আগে ফজলার মুন্সির কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকায় বর্গা হিসেবে জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। গত বছর জানতে পারি ওই জমি কাগজপত্র ও খারিজ খাজনা অনুযায়ী প্রকৃত মালিক বিজয় চন্দ্র মন্ডল তখন থেকে জমির বর্গা হিসেবে ফসলের লভ্যাংশ বিজয় চন্দ্র কে দিয়ে থাকি।
গত কয়েকদিন আগে গভীর রাতে কে বা কাহারা আমার রোপণকৃত ২ শতাধিক কলাগাছ ও বিজয় চন্দ্র মন্ডল এর লাগানো আম গাছগুলি কেটে ফেলে। আমি অসহায় হয়ে সকলের কাছে দাবি জানাচ্ছি আসলে আমি কি অপরাধ করেছি -আর আম গাছ ও কলা গাছগুলি কি অপরাধ করেছে?
অপরদিকে আম ও কলা গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে জমির মালিক বিজয় চন্দ্র মন্ডল এর ছেলে দেবাশীষ চন্দ্র কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন-ওই জমি আমাদের নামে খারিজ খাজনা ও সি এস রেকর্ড-আর এস রেকর্ড অনুযায়ী পৈত্রিক সম্পত্তি যাহার সকল কাগজপত্র রয়েছে আমাদের কাছে।
বর্গা চাষী শুকুর আলী রোপনকৃত কলাগাছ বিনষ্ট না করে সেখানে আমরা আমগাছ রোপন করি । অথচ ফজলার মুন্সি দীর্ঘদিন যাবত জবরদখল করে রাখে ওই জমি নিজের বলে দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ করে। ফসল ও কলাগাছ কাটার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।
পরের দিন লোক মারফতে জানতে পারি আমাদের আমগাছ সহ কলাবাগান কেটে সাফ করেছে। তাই আমরা থানায় একটি অভিযোগ করেছি অভিযোগ পেয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি বলেছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ এ কে এম খন্দকার মহিবুল ইসলাম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৫ নং খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের অম্রবাড়ি গ্রামে কলাবাগান ও আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পেয়েছি । কে বা কাহারা গভীর রাতে আম ও কলাগাছ কেটে ফেলে।তদন্ত চলছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।