নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিনগেজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত ১ অক্টোবর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
৪ অক্টোবর রোজ শনিবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা বাংলাদেশের টেকসই জাহাজ পূর্ন ব্যবহার এবং নৌ খাতের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, শ্রমিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক মান পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি দেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকান ও এসআইডিএস অঞ্চলগুলোর শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে, যা বৈশ্বিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিনগেজ জানান, ২০২৫ সালের এপ্রিলে ‘আইএমও নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্ক’ খসড়া আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্দেশিকা হিসেবে বিবেচিত হবে।
খসড়াটি অক্টোবর মাসে মেরিন এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন কমিটি (এমইপিসি)-এর বিশেষ অধিবেশনে ভোটে অনুমোদিত হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
জবাবে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশবান্ধব শিপিং ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতি ও জাহাজ পুর্ন ব্যবহার খাতের প্রভাব বিবেচনা করে বিস্তারিত মূল্যায়নের পর আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানো হবে।
এছাড়া ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আইএমও কাউন্সিলের সি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের প্রার্থিতার সমর্থন চান উপদেষ্টা।
মহাসচিব আশ্বস্ত করেন, বৈশ্বিক সামুদ্রিক খাতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে, তাই জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে আইএমওর কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও জোরদারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।