1. info@dailyshadhinbarta.com.bd : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

ড. ইউনূসের গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ঘেরে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

বার্তা ডেস্ক:
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের চিংড়ি ও মৎস্য প্রকল্পে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে অবশেষে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির সময় লুট করা একাধিক মোবাইল, লুটকৃত মাছসহ বিভিন্ন মালামাল। তবে এ ডাকাতিতে প্রকল্পের এক কর্মচারীর যোগসাজশের স্বীকারোক্তি মিলেছে। যা সর্ষের ভেতরে ভূতের অবস্থান বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে স্থানীয় জনতা এই চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় মর্মাহত হয়ে খোঁজ খবর নিতে থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকা থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় জনতা। এর পর খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এক কর্মচারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ৩০০ একর বিশিষ্ট এই চিংড়ি ঘের বা মৎস্য প্রকল্পের অবস্থান চকরিয়া সুন্দরবনের রামপুর মৌজায়। গত বুধবার ভোররাত আড়াইটার দিকে এই প্রকল্পে ৭/৮ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এ সময় ডাকাতদের মারধরে চারজন কর্মচারী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।

গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন- চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকার শামসুল আলমের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৮), একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে আকতার হোসেন (২৭), আবুল হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (২৮) ও সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মোহাম্মদ লালুর ছেলে আবুল হাসেম (২৬)।

এদিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার আগে স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে আটককৃত ডাকাতেরা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন- গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের মোজাম্মেল নামের এক পুরনো কর্মচারীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। মূলত তার (মোজাম্মেল) কাছ থেকে গ্রীণ সিগনাল পেয়ে সাত সদস্যের একদল ডাকাত প্রকল্পের মৎস্য আড়তে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষে হানা দিয়ে লুটপাট চালায়। অথচ আহত কর্মচারীদের মধ্যে মোজাম্মেলের নামও রয়েছে।

গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের তালিকাভুক্ত মৎস্য ব্যাপারী আবদুল হামিদ বলেন, ‘বুধবার ভোররাতে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার পর ফাউন্ডেশনের খামার ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি চৌধুরী বিষয়টি তাকে জানান। এর পর ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তসহ তাদের ধরতে তৎপরতা শুরু করি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সারাদিন পাঁচজনকে আটক করি। তন্মধ্যে মহিউদ্দিন নামের একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধৃত চারজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।’

মৎস্য ব্যাপারী আমির হোসেন বলেন, আটককৃতরা সবাই ওই ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ সময় তারা ফেরত দেয় লুট করা দুটি মোবাইল ফোন, বেশকিছু মাছসহ অন্যান্য মালামাল।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল সাংবাদিকদের জানান, ‘গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের খামারে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সাতজনের মধ্য থেকে চারজনকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে লুণ্ঠিত কিছু মালামালও। এই ঘটনায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হবে এবং বাকী আসামীদেরও আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Licence No- TRAD/DSCC/210965/2019 and applied for registration.

Community Verified icon
 

Community Verified icon