গতকাল মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে পালিত হলো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রত্ন মহাকবি কায়কোবাদ-এর ৭৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। গতকাল ১৩ জুলাই সকাল ১১টা থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত ঢাকার আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে কবির সমাধিস্থলে দোয়া মাহফিল, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, কবির মৃত্যুবার্ষিকী ২১ জুলাই, ১৯৫১।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মুখপাত্র এস. এস. আজাদ রহমান। তিনি কবির স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন:
১. নবাবগঞ্জের আগলা পূর্বপাড়ায় কবির পৈতৃক ভিটা রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে সংরক্ষিত ঐতিহ্য ঘোষণা।
২. জাতীয় পাঠ্যসূচিতে কায়কোবাদ-এর সাহিত্য অন্তর্ভুক্তকরণ।
৩. রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন নিশ্চিতকরণ।
সংগঠনের উপদেষ্টা মাহমুদ আলী খান টুলু তার শৈশবের কায়কোবাদ সম্পর্কিত স্মৃতিচারণ করেন এবং কবির প্রতি জাতির অবহেলার চিত্র তুলে ধরেন। সংগঠনের অন্য এক উপদেষ্টা কবি দৌহিত্র আশরাফউদ্দিন আহমেদ তার নানাকে ঘিরে নানা আবেগঘন স্মৃতি সবার সাথে ভাগ করেন।
সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র আওলাদ হোসেন চন্দন কায়কোবাদকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কবি দৌহিত্র এ, এ, নাছিরউদ্দিন আহমেদ, জাকিউজ্জামান, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সত্যজিত্ সাহা, মো: মিজানুর রহমান, মো: মাসুম আলী, ফরহাদ হোসেন সহ আরো অনেক মহাক কায়কোবাদ অনুরাগী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে আমেরিকা থেকে পরিচালনা করেন সেলিম ইব্রাহিম ও ইতালী থেকে বিষ্ণু সাহা। অনুষ্ঠানটি কবির স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা আর ইতিহাসচর্চার একটি প্রাঞ্জল পরিসর হয়ে ওঠে।