 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    নানা অপরাধের উত্থানে বিপর্যস্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে কংগ্রেস ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তেকে পদচ্যুত করেছে। দেশের ইতিহাসে এটিই তার বিরুদ্ধে প্রথম সফল অভিশংসন ভোট, যদিও এর আগে আটবার তাকে অপসারণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েট প্রেস।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অনুষ্ঠিত ভোটে ১৩০ সদস্যবিশিষ্ট একক কক্ষবিশিষ্ট সংসদের ১২৪ জন সদস্য বলুয়ার্তেকে অপসারণের পক্ষে ভোট দেন। তার আগে কংগ্রেস চারটি পৃথক অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং প্রেসিডেন্টকে সংসদের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ডাকে। কিন্তু তিনি উপস্থিত না হওয়ায়, সংসদ তাৎক্ষণিকভাবে ভোটে গিয়ে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। এই নাটকীয় ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজধানী লিমায় এক কনসার্টে গুলিবর্ষণের ঘটনা জনমনে ক্ষোভ বাড়িয়ে তোলে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে আগের প্রেসিডেন্টকে একই প্রক্রিয়ায় অপসারণের পর দিনা বলুয়ার্তে ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু তার সরকার সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও চাঁদাবাজিসহ সহিংস অপরাধ দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৬ হাজার ৪১ জন মানুষ খুন হয়েছে- যা ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ। এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশজুড়ে ১৫ হাজার ৯৮৯ টি চাঁদাবাজির অভিযোগ জমা পড়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।
বুধবার এক সামরিক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তে দেশের অপরাধ পরিস্থিতির জন্য আংশিকভাবে দায়ী করেন অবৈধ অভিবাসীদের। তিনি বলেন, এই অপরাধ বহু বছর ধরে গড়ে উঠেছে এবং অবৈধ অভিবাসনের কারণে আরও শক্তিশালী হয়েছে। আগের প্রশাসনগুলো সীমান্ত উন্মুক্ত রেখে অপরাধীদের অনায়াসে প্রবেশ করতে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দো আরানা সংসদে বলুয়ার্তের পক্ষে বক্তব্য রাখলেও তা সংসদ সদস্যদের মনোভাব পরিবর্তন করতে পারেনি। তিনি বলেন, অভিশংসন প্রস্তাবই সমস্যার সমাধান নয়, বরং তা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। আমরা পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই না- আমরা জানতাম, আমাদের প্রথম দিন যেমন ছিল, শেষ দিনও তেমনই হতে পারে।