1. info@dailyshadhinbarta.com.bd : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা Shadhin Barta
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
প্রবাস নয়, দেশেই ‘কমলা’ চাষে ভাগ্য বদল শার্শার আবু হানিফের কাশি দিয়ে ধরা পড়লেন, খাদ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতি চক্রের ৩ সদস্য আটক যশোরে ফের ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক নেত্রকোনায় সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নভেম্বর মাসে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান — প্রস্তুত বিএনপি ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ, শিকারে নামতে প্রস্তুত জেলেরা সময় এসেছে পরিবর্তনের: জাতিসংঘকে তাল মেলাতে হবে, বললেন ড. ইউনূস নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ ও ‘বিদেশি চাপ’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব সালমান শাহ হত্যা মামলা: পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বিকালে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ এমন রক্তিম হয় কী কারণে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রকৃতি আবার সাজিয়েছে এক অসাধারণ দৃশ্যের আয়োজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতের আকাশে আবারও দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’। অর্থাৎ চাঁদ রূপ বদল করে লাল আভা ধারণ করবে। এই রক্তিম আভা রাতের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এটি দেখতে পারবে। 

মহাকাশবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডট কম জানিয়েছে, এবারের চন্দ্রগ্রহণ প্রায় ৮২ মিনিট স্থায়ী হবে, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে গণ্য হচ্ছে। এই গ্রহণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা যাবে। বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষই এই চন্দ্রগ্রহণ দেখতে সক্ষম হবেন। বাংলাদেশ থেকেও এটি স্পষ্ট দেখা যাবে।

বাংলাদেশের আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রোববার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে। এই সময় চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করবে। চাঁদের পুরোপুরি লাল আভা, অর্থাৎ ‘ব্লাড মুন’, দেখা যাবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এরপর রাত ২টা ৫৫ মিনিটে চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবে এবং গ্রহণ শেষ হবে। চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনও চোখের সুরক্ষা প্রয়োজন নেই। এটি খালি চোখে নিরাপদে দেখা যায়, যা সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

কীভাবে হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ?

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখন, যখন পৃথিবী সরাসরি সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে এবং চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়। এই সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে গাঢ় ছায়া অংশ, অর্থাৎ ‘আম্ব্রা’-এর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। গ্রহণের শুরু ও শেষে চাঁদ পৃথিবীর হালকা ছায়া ‘পেনাম্ব্রা’-তে থাকায় কিছুটা ম্লান দেখায়।

চাঁদ লাল হয় কেন?

চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল আভা দেখা যায় ‘রে লি স্ক্যাটারিং’ নামের বৈজ্ঞানিক কারণে। যেমন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ লালচে হয়ে ওঠে, তেমনি চন্দ্রগ্রহণেও চাঁদ লাল হয়।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী সরাসরি সূর্যালোক চাঁদে পৌঁছতে বাধা দেয়। তবে কিছু সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হয়ে চাঁদের দিকে পৌঁছায়। এই আলোতে থাকা নীল ও বেগুনি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি ছড়িয়ে যায়, আর লাল ও কমলা তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম ছড়িয়ে চাঁদে পৌঁছায়। ফলে চাঁদ একটি লালচে আভা ধারণ করে। এ কারণেই এই ঘটনা ‘ব্লাড মুন’ নামে পরিচিত।

নাসার মতে, যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা, মেঘ বা আগ্নেয়গিরির ছাই থাকে, তাহলে চাঁদের রঙ আরও গাঢ় এবং তীব্র লাল বা তামাটে হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
LICENCE NO- TRAD/DSCC/210965/2019 and applied for registration.
Community Verified icon
 

Community Verified icon