সাংবাদিকদের উপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ (১০ জুলাই) মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর একটি জরুরি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মানিত সদস্য, সাংবাদিক তরফদার মামুন সম্প্রতি বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তার চেক গ্রহণ করে মৌলভীবাজারে ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ও পরিকল্পিত হামলার শিকার হন।
এই ঘটনা শুধু একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা নয় — এটি গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের স্পষ্ট ও জঘন্য প্রয়াস। সাংবাদিকরা যেখানে জনগণের পক্ষে কথা বলেন, সেখানেই আজ তারা হামলার শিকার — এটি গণতন্ত্রের জন্য সরাসরি হুমকি।
এই নির্মম ও কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ, জাতীয় ও আঞ্চলিক সাংবাদিক সংগঠন এবং একাধিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন –
“সাংবাদিকরা দেশ ও মানুষের সত্য উচ্চারণে নিরলস সংগ্রামী। অথচ আজ তারা রেলস্টেশনের মতো জনবহুল জায়গায়ও নিরাপদ নন! এই ব্যর্থতা কার?”
স্মারকলিপিতে জোরালোভাবে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়:
এই স্মারকলিপির অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে—
অনুলিপি প্রেরণ – প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য:
১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
২. মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩. মাননীয় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (পশ্চিমাঞ্চল)
৪. পুলিশ মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ
৫. রেলওয়ে জোনাল ম্যানেজার, বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ
৬. পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজার
৭. জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার
৮. পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
৯. সিলেট বিভাগীয় কমিশনার
১০. জাতীয় প্রেসক্লাব / সাংবাদিক ইউনিয়ন / সাংবাদিক সমিতি
১১. স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা
১২. অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্থা
হস্তান্তরকারী: জাফর ইকবাল, সভাপতি, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন
উপস্থিত: জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। একবার যদি সাংবাদিকরাও নিরাপদ না থাকেন, তবে জনগণের নিরাপত্তার গ্যারান্টি কোথায়? গণমাধ্যমকর্মীরা একতাবদ্ধ — আমরা কেউ মাথা নত করবো না।
ভয় নয়, প্রতিবাদই হোক অস্ত্র।