1. info@dailyshadhinbarta.com.bd : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন

কানাডায় লিবারেলের জয়, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি

আন্তজাতিক ডেস্ক:
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

কানাডায় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি। এর মধ্য, দিয়ে আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সর্বশেষ এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি এবং বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ভাগ্যের একটি অত্যাশ্চর্য পরিবর্তনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় কানাডার এই নির্বাচন। তাই পরবর্তী নেতাকে অবশ্যই মার্কিন শুল্ক এবং জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় মোকাবিলা করতে হবে।
লিবারেলরা কনজারভেটিভদের তুলনায় সংসদের ৩৪৩ আসনের মধ্যে অধিকাংশতেই জয়ের অনুমান করছে। যদিও তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে অন্য দলের প্রয়োজন ছাড়ায় তাদের আইন পাস করা সহজ হবে।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কানাডার অর্থনীতিতে আক্রমণ করা এবং এর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার আগে উদারপন্থিরা একটি বিপর্যয়কর পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। তবে দাবার গুটি পাল্টে দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।

তিনি কানাডার তৈরি গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার কথা বলেছেন, যা দেশটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড ক্ষুব্ধ করেছে কানাডিয়ানদের। একই সঙ্গে লিবারেলদের চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় জেতার পথ সহজ করেছেন।

এর আগে, টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর চলতি বছরের শুরুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন জাস্টিন ট্রুডো। গত ৯ মার্চ তার স্থলাভিষিক্ত হন মার্ক কার্নি। সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। এছাড়া তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

কানাডায় যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন:

দেশটির ৩৪৩টি ফেডারেল আসনে ভোটাররা কেবল তাদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

যে দলের নেতৃত্বে হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জিত হবে, সেই দল সরকার গঠন করবে এবং দলের নেতা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

যদি কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে সাধারণত সর্বাধিক আসন পাওয়া দল সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে এবং সরকার টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দলের কিছু সদস্যের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হয়।

কখনও কখনও একাধিক দল মিলে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে যৌথভাবে জোট সরকারও গঠন করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Licence No- TRAD/DSCC/210965/2019 and applied for registration.

Community Verified icon
 

Community Verified icon