বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও তথ্যনির্ভর ও আধুনিক করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) হাতে নিয়েছে ‘বার্ষিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরিপ ২০২৫’। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই জাতীয় জরিপের আওতায় দেশের সব প্রাথমিকোত্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য এবারও অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
ব্যানবেইস থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, এসডিজি-৪ (SDG4) বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিরূপণ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিস্টিকস (UIS)-এর কাছে সঠিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য নির্ভুল ও হালনাগাদ তথ্য অপরিহার্য। এ কারণে কোনো প্রতিষ্ঠান যেন তথ্য প্রেরণে অবহেলা না করে—সে বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট শিক্ষা অঞ্চলভুক্ত ২১ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০ থেকে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের মধ্যে তাদের তথ্য অনলাইনে প্রেরণ করতে হবে। পরবর্তী ধাপে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ ২৯ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত এবং রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো ৭ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তথ্য জমা দেবে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ব্যানবেইসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে “শিক্ষা জরিপ ২০২৫” অপশনে প্রবেশ করে EIIN নম্বরকে ইউজার আইডি এবং ৫৩২৬৮৮ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে বলা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সুবিধা নেই, তারা নিকটবর্তী উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (UITRCE) বা ব্যানবেইস সাইবার সেন্টারের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারবে।
মৌলভীবাজার জেলার জেলা শিক্ষা অফিসার তাঁর অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজে জানিয়েছেন, “সিলেট অঞ্চলের জন্য তথ্য প্রেরণের নির্ধারিত সময় ২০-২৮ অক্টোবর ২০২৫। তাই জেলার সব প্রাথমিকোত্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তথ্য ব্যানবেইস সার্ভারে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”
ব্যানবেইসের কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষা খাতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বাজেট বণ্টন, নীতিনির্ধারণ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মূল্যায়নে এই জরিপের তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য না পাঠানো হলে তা দেশের শিক্ষা উন্নয়ন সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, ‘বার্ষিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরিপ’ কেবল একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়—এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার একটি কার্যকর পদক্ষেপ। তাই এ বছর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সঠিক সময়ে তথ্য প্রেরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।