যশোরের শার্শায় প্রথম বারের মত অস্ট্রেলিয়ান ও দার্জিলিং জাতের কমলা চাষে চমক দেখালেন বিদেশ ফেরত যুবক আবু হানিফ। হানিফ ৪ বছর পূর্বে বিদেশ থেকে ফিরে সখের বসে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন।
তিনি ৩ বিঘা (৯৯ শতক) জমিতে ৫ প্রকার গাছের চারা রোপন করেন এর মধ্যে পেয়ারা, সরিফা, কমলা, মাল্টা ও বীজ বিহীন লেবু। প্রথম ২ বছরে পেয়ারার বাম্পার ফলন হয় , সকল খরচ বাদ দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা লাভ করেন হানিফ। তবে সরিফা চাষে ভালো ফল না পেয়ে ২০৮ চারা কেটে ফেলেন তিনি।
মাল্টা ও দার্জিলিং কমলাতে গত বছরে ভালো লাভ হয়েছে তার, চলতি সিজনে প্রথম বারের মত ব্যাপক ফলন হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান কমলার এই সিজনেই কমলা বিক্রির আশা ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার।
আবু হানিফ শার্শার ৯ নং উলাশী ইউনিয়নের মাটিপুকুর গ্রামের মাঠ পাড়ার হাজী মোহম্মদ লাল মিয়ার বড় ছেলে।
আবু হানিফের ফল চাষের পাশাপাশি ধান চাষ ও মাছ চাষের ঘেরসহ মোট ৪০ বিঘা চাষের জমি রয়েছে, সখের বসে বসত বাড়িতে গড়ে তুলেছেন বাহারি ফলের বাগান। এর মধ্যে সবার নজর কাড়ে ম্যালেশিয়ার মিষ্টি নারকেল,যার ৪ ফুট গুড়িতেই নারিকের ধরেছে।আরও রয়েছে বাহারি রঙের আখ ও বিভিন্ন ফলের চারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব দীপক কুমার বলেন, আবু হানিফ দেশের গর্ব। তার চাষের ব্যাপারটি শার্শা কৃষি অফিস তদারকি করছে। আমরা বিভিন্ন ভাবে হানিফকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করে আসছি।