বছর ঘুরে এলো্ আবার পবিত্র মাহে রমজান,
গুনাহ্ মাফের শ্রেষ্ঠ সময় শোন হে মুসলমান।
ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ মাহে রমজান,
সংযমী আর শুদ্ধি হই দিয়ে মনপ্রাণ।
এ মাসেই নাজিল হলো পবিত্র কোরআন,
শুদ্ধ করে তেলাওয়াত করি হই খাঁটি মুসলমান।
নিজেকে শুদ্ধি আর সংশোধন করার উৎকৃষ্ট এ মাস,
এ মাসের ফজিলত ভুলে না করি নিজের সর্বনাশ।
সারা বছরের শিক্ষা দেয় এ মাহে রমজান,
সকল মুসলমানের উপর আল্লাহর অশেষ মেহেরবান।
প্রথম দশদিন রহমত লাভের,
দ্বিতীয় দশ দিন মাগফেরাতের।
তৃতীয় দশদিন নাজাতের,
জীবন হয় ধন্য সকল মুসলমানের।
এ মাসেই সবার মন হয় পবিত্র আর সতেজ,
সাথে থাকে ইফতারের আমেজ।
পানাহারে থাকবো সংযোমী আরো অন্য কাজে,
কুপ্রবৃত্তি আর কুচিন্তা থাকে না যেন মনের মাঝে।
পালন করি সবাই রমজানের মর্যাদা,
পাপ থেকে থাকবো দূরে করি ওয়াদা।
সারা মাস কোরআন তেলাওয়াতে হই মশগুল,
রমজান শেষে হই বেহেস্তের ফুল।
রমজানে শয়তান থাকে তালাবদ্ধ,
তাই মুমিন মুসলমান হয় না কোন পাপ কাজে অাবদ্ধ।
রমজানের শিক্ষায় গড়ি এ জীবন,
নিজেকে তৈরী করি ইসলামের বিধান মতন।
সুন্দর চরিত্র গঠন করে সুনাম করি অর্জন,
মন থেকে পাপ আর কুপ্রবৃত্তি করি বর্জন।
এ মাসেই আর পবিত্র রজনী,
এ রজনীতে এবাদতে প্রচুর নেয়ামত সকলেই জানি।
রমজানে ধনীর উপর যাকাত আছে ফরয
অসহায়দের সাহায্য করলে হাসবে খোদার আরশ।
অসহায় ও গরীবদের করি দান খয়রাত,
তবেই পাব আখিরাতে সওয়াব
ত্রিশ রোজার পরে খুশির দিন আজ
ধনী-গরীব একসাথে পালন করে এ পবিত্র দিন।
কবি, ফেরদৌসি খানম রীণা