মোল্লা মাসুম এমন একটি নাম যিনি কোন পদে থাকুক বা না থাকুক সাধারণ মানুষের সেবায় কখনো পিছপা হননি। বর্তমানে এই করোনা মহামারির সময় সাধারণ মানুষকে নিজের সাধ্যের সর্বচ্চটুকু দিয়ে সাহায্য করে চলেছেন এই ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এই পবিত্র মাহে রমজান মাসেও থেমে থাকেননি তিনি। সেহরির রাত থেকে শুরু করে ইফতারি পর্যন্ত প্রতিদিন ৩০০-৪০০জন অসহায়, হতদরিদ্র ও পথ মানুষের খাবার তৈরি করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
ভোর রাতে মিরপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সেহরী বিতরণ ও সারাদিন শেষে রোজাদার মানুষদের মাঝে ইফতারি বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন তিনি ও তার সহকর্মীরা।
মিরপুর শাহ আলী মাজার থেকে শুরু করে মিরপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে তিনি ও তার সহকর্মীদের সহযোগিতায় প্রতিদিন ইফতারি ও সেহরীর খাবার বিতরণ করে চলেছেন এবং প্রত্যেক বছরই এটি চলমান থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
কথা হয় এক পথচারী মোঃ সাগড় খানের সাথে তিনি এসেছিলেন মিরপুর শাহ আলী মাজারে গাড়ি না পাওয়ার কারণে ইফতারির আগে বাসায় পৌছাতে পারেনি তিনি। তাই ইফতারি করেছেন মোল্লা মাসুমের রান্না করা খাবারেই। পথচারী সাগড় খান তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
গত বছর করোনার মহামারির থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অসহায় ও হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রান পৌছে দিয়েছেন নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে।
যারা লোকলজ্জার ভয়ে সরাসরি ত্রান নিতে আসতে পারেনি, খুব গোপনে রাতের আধারে ওইসব মানুষের ঘড়ে ত্রান পৌছে দিয়ে এসেছেন মোল্লা মাসুম সহ তার সহকর্মীরা। বহু ত্রান সামগ্রী নিজ অর্থায়নে ও নিজের সাধ্যমত বিলিয়েছেন অসহায়দের মাঝে।
ফিরে যেতে চাই মোল্লা মাসুমের একটু পেছনের ইতিহাসে, যেভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে যুক্ত হলেন তিনি।
মোল্লা মাসুম বর্তমানে গনযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক উপ-সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-এর দায়ীত্তে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী থানা ছাত্রলীগ, প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ৯৩নং ওয়ার্ড বৃহত্তর মিরপুর থানা ছাত্রলীগ, সাবেক সহ-সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
নানান প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে ঠিক তখনই এই উদীয়মান তরুণ, দুরন্ত পথের পথিক মোল্লা মাসুম ভাই এসে হাজির হয় এবং নাম লেখান এই ছাত্রলীগের কমিটিতে।
খুব দ্রুত গতিতে খুব কাছে গিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করে মন জয় করে নিয়েছিলেন সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আসলামুল হক আসলাম স্যারের।
নতুন নেতৃত্তে ও বিশাল ছাত্রকর্মী সংগ্রহ করে বিশাল আকারে ছাত্রলীগের মিরপুর কমিটিকে আরো বড় করে গড়ে তোলেন তিনি। তার নেতৃত্তে বিশাল মিছিল ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও মিটিংয়ে তার নেতৃত্ত ছিলো চোখে পড়ার মত।
এরপর থেকে তার নেতৃত্তে ও নিজ সামর্থে মিরপুর বাসির সুখে দুখে সবসময় তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে চলেছেন তিনি। গতবছর মহামারি করোনার শুরু লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটা দিনই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এই কর্মী।
তিনি সবসময়ই রাজ পথে থেকে কাজ করে চলেছেন এবং জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত কাজ করে যাবেন বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমার মত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নেতাকর্মীরা যদি একটু একটু করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায়, নিশ্চই একদিন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তাঁর সেই স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
একান্ত সাক্ষাৎকারে মোল্লা মাসুম ভাইয়ের সাথে কিছু সময়ঃ
স্বাধীন বার্তা প্রতিবেদকঃ আচ্ছা মাসুম ভাই আপনি কেন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হলেন অন্য কোন দলে কেন নয়ঃ
মাসুম ভাইঃ আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি এবং তাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। জাতির পিতা সবসময়-ই চেয়েছেন যারা সাধারণ জনগন তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে তিনি সারাজীবন কাজ করে গেছেন।
কিন্তু তিনি তার কাজগুলো সব শেষ করে যেতে পারেননি। তাঁর জীবনের গুরুত্তপূর্ণ ১৪টি বছরই এই মানুষটা জেলের ভেতর কাটিয়েছেন। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সামান্য কয়েকটা বছর দেশের রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ত পালন করেছেন।
হঠাৎ ১৫ই আগষ্টের এক কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে সহ তার পুরো পরিবারকে সেনাবাহীনির কিছু উচ্চাভিলাসী কতিপয় সন্ত্রাসীর দল নির্মম ভাবে হত্যা করার কারণে তাঁর কাজগুলো অসমাপ্তই রয়ে যায়।
কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তাঁর সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেচে যান। আজ তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো তিনিই শেষ করে চলেছেন আর আমরা তারই দিক নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি।
তাই তার এই অসমাপ্ত কাজগুলোকে আমরা কিছুটা হলেও স্বাধীন দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কল্যানের জন্য যদি কিছুটা কাজ করতে পারি আমি মনে করি জাতির পিতার আত্তা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।
তিনি আজ বেঁচে নেই কিন্তু তার স্বপ্ন গুলিতো ধীরে ধীরে আমাদের মত হাজারো নেতাকর্মীর দ্বারা পূরণ হতে থাকবে। এভাবেই দেশটা একদিন সুখী দেশে পরিণত হবে বলে আমি মনে করি।
স্বাধীন বার্তা প্রতিবেদকঃ আচ্ছা ভবিষ্যতে আপনি এই সংগঠনের জন্য আপনার কি দায়ীত্ত রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
মাসুম ভাইঃ আপনি হয়তো জানেন যে, জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতীয় তাবাদের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো অনেক বড়।
তিনি সবসময় তার সহকর্মীদের খোজ রাখতেন এবং তাদের জন্য সব সময় কিছু করতে চাইতেন। তিনি কখনো নিজের দলের নেতা কর্মীদের ছোট করে দেখতেন না। তার চোখে পড়ে যাওয়া সবাই আজ কোন না কোনভাবে প্রতিষ্ঠিত কারণ তিনি তাদের সঠিক পথ দেখিয়ে গেছেন।
ঠিক তেমনি করে আমার সংগঠনের প্রত্যেকটা কর্মী এবং সাধারণ কর্মীদের নিয়েও আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। আমিও তাদেরকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ও তাদেরকে আমার পাশে রেখে তাদের কর্মসংস্থানের সুন্দর একটি ব্যবস্থা করার দায়ীত্তটা ও আমারই। আমি আমার কর্মীদের জন্য সবসময় কাজ করতে চাই।
আমি জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত তীক্ষনো বুদ্ধি শক্তির অধিকারিনী ঠিক তিনি যেমন, ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার সপ্ন দেখেছেন এবং আমি জানি তিনি অবশ্যই পারবেন।
আমিও তার এই স্বপ্নের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করে দেশকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই দিকটা নিয়ে কাজ করতে চাই। ধন্যবাদ আপনাকে, স্বাধীন বার্তার সাথে থাকার জন্য।
একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেনঃ স্বাধীন বার্তা পত্রিকার, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তরিকুল ইসলাম