প্রথম আলাের সিনিয়র সাংবাদিক রােজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, নােয়াখালী কােম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক নেতারা। সাংবাদিক নেতারা এমন ঘটনার পূণরা বৃত্তি যেন আর না ঘটে এবং এই অন্যায় কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের কাছে জোড় দাবী তুলে ধরেন।
সাংবাদিক নেতা এ এইচ এম মান্নান মুন্না বলেন, এই ঘটনায় প্রতিয়মান হয় যে, সাংবাদিকদের কন্ঠরােধ করার প্রতিক্রিয়া, স্বাধীনদেশে সাংবাদিক রােজিনা ইসলামকে হেনস্তা করা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে বলতে চাই, যাঁরা এই ধরনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করার জন্য আহ্বান জানাই, মহামান্য রাষ্টপ্রতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
কােম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক নেতা ইমাম হাসান রাসেল বলেন, বিশ্বে সাংবাদিকের অবস্থান অনেক ওপরে কিন্তু বাংলাদেশে সাংবাদিকদের অবস্থান, সম্মান ও নিরাপত্তা সর্বনিম্নস্তরে পৌছেছে। এইভাবে সাংবাদিকের হেনস্তা করার কারনে বিশ্বে আমাদের দেশের সম্মান অনেকটা বিলিন হওয়ার পথে চলে যাচ্ছে। সাংবাদিক রােজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ফলে সাংবাদিক সমাজকে রুদ্ধতা করার একটি সাজানাে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছে।
তিনি আরাে বলেন, সঠিক তথ্য প্রমান ছাড়া সাংবাদিকের উপর ক্ষমতা অপব্যবহার করার মাধ্যমে সাংবাদিকের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। গতকাল ১৭ই মে সােমবার বেলা সাড়ে তিনটার সময় সংবাদ তথ্য সংগ্রহ করতে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে গেলে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে সাংবাদিক রােজিনা ইসলামকে ছয় (৬) ঘন্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়।
পরে সেই আটক অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে শাহাবাগ থানার দায়িত্বরত পুলিশের কাছে সােপার্দ করা হয়েছে। প্রথম আলাের জৈষ্ঠ সাংবাদিক রােজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশ জেগে উঠেছে, তারই অংশ হিসাবে কােম্পানীগঞ্জ সাংবাদিক নেতারা প্রতিবাদে ঝড় তােলে।
তারা আরো বলেন, কিভাবে একজন সাংবাদিককে এভাবে আটকে রাখতে পারে সাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে কেনই বা থানায় সোপর্দ করা হলো। তার অপরাধ কি আজ সাংবাদিক সমাজসহ ও পুরো জাতি জানতে চায়।