কথায় আছে হাসি মানুষের যে কোনো অসুখের সবচেয়ে ভালো ঔষধ। মানুষের জীবনের হাসি একটি অতুলনীয় নিয়ামত। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল সাঃ বলেন
প্রতিটি ভালো কাজ সদকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো, অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৭০)
প্রিয় নবী (সাঃ) সর্বদা হাস্যোজ্জল ছিলেন, তাকে কখনোই কেই অকারণে মুখ মলিন করে থাকতে দেখননি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন কাউকেই দেখিনি যিনি রাসূল (সাঃ) এর থেকে অধিক হাসি মুখে থাকতেন। ( তিরমিজি)।
আজ বিশ্ব হাসি দিবস। চিকিৎসকদের ভাষায়,
মানুষ সামাজিক জীব আমাদের চলার পথে অনেক ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হয়, এর কারণে আমাদের হাসি গুলো মলিন হয়ে যায়, পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ দৈন্যতায় দেশে মন ভাল করার অনুষঙ্গ দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
হাসি শুধু মন ভাল করে তাই না। হাসির রয়েছে শারীরিক ও সামাজিক গুরুত্ব।
আজ বিশ্ব হাসি দিবস। চিকিৎসকদের ভাষায়, সারাদিনকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য সকালের ১ মিনিটের হাসিই যথেষ্ট। হাসি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি মানসিক চাপ থেকেও দূরে রাখে।
একটু হাসিই পারে মানুষকে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তুলতে।
হাসি মানুষকে মানসিক শান্তি দেয়,
১৯৯৮ সালে বিশ্ব হাসি দিবস চালু করেন ভারতীয় চিকিৎসক ডা. মদন কাটারিয়া। তিনি হাসির উপযোগিতাকে তুলে ধরেন। দীর্ঘদিন সুস্থভাবে জীবন যাপন করার জন্য হাসির কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার।
১৯৯৮ সালে মুম্বাইতে প্রথমবার হাসি দিবস পালন করা হয়। হাসির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের বিশ্বজনীন সচেতনতা সৃষ্টি বিশ্ব হাসি দিবসের উদ্দেশ্য।