 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার যোগ্যতাসম্পন্ন, বিচক্ষণ ও সাহসী উপাচার্য চান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এছাড়া উপাচার্যকে অবশ্যই জবি থেকেই হতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় শিক্ষক সমিতির লাউঞ্জে শিক্ষকদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তাঁরা।
জবি থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময়কালে শিক্ষকরা বলেন, অতীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়ে এসেছেন, রুটিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তখনো নিজের বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে কাজ করেন নি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হতে ৬-৭ বছরের বেশি লাগার কথা নয়। কিন্তু কাজ কেউ আন্তরিকতার সঙ্গে করেননি।
তাঁরা আরো বলেন, এখন দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। আমরা কথা বলতে পারছি। এখনই দাবি জানানোর উপযুক্ত সময়। আমাদের ক্যাম্পাসের সমস্যা আমাদের শিক্ষকগণই ভালো বুঝতে পারবেন। তবে অবশ্যই উপাচার্যকে বর্তমান দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার যোগ্যতাসম্পন্ন, বিচক্ষণ ও সাহসী হতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভিসি নিয়োগ দিতে হবে। যারা (শিক্ষক) নিজেরাই চান জবি থেকে ভিসি না আসুক, ঢাবিতে গিয়ে বলেন আমরা আপনার পাশে আছি, তাঁদের জন্য লজ্জা। আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের যৌক্তিক দাবি অবশ্যই মানতে হবে। ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ বলেন, আমরা অনেক আলোচনা করেছি।
মূলকথা হলো, যে স্থান থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়, সেখানে আমাদের দাবি পৌঁছানো হয়েছে। তাঁরা চিন্তা করছেন, কাকে দেওয়া যায়। তবে যদি জবি থেকে বাইরের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়, আমাদের সে ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মেজবাহ-উল-সওদাগর বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যিনি উপাচার্য হিসেবে আসবেন, তাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে হবে। আইনের আলোকে চলতে হবে। বিভিন্ন অসংগতি দূর করতে প্রয়োজনে আইন সংস্কার করতে হবে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বিলাল হোসাইন বলেন, আমরা ১৯ বছর ধরে জবি থেকে ভিসি পাইনি। ফলে আশানুরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোতে উন্নয়ন হয় নি। আমরা পিছিয়ে আছি। আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই। এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আকরাম উজ্জামান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. মোহাম্মদ রেজাউল হোসাইন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।