অনন্ত! আমি এক অদ্ভুত কারাগারে বন্দী,
কয়েদি যেমন বন্দী থাকে জেলখানায়।
তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করে
বড় বেশি কাছে পেতে ইচ্ছে করে
তোমার ঐ অগোছালো চুল!
বা-হাতে সিগারেট, ডান-হাতে চায়ের কাপ, আলতো চুমুকে গিলছ চা
চাঁদনী রাতে ঝিলের পাড়ে চুটিয়ে আড্ডা,
মাঝে মধ্যেই মৃদু বায়ে মুচকি হাসি,
আনমনে জড়িয়ে ধরা,
আকষ্মিকভাবে নেশা জাগায় আমায়!
বর্ষার ঢলে উছল্লিয়া উঠে মন, ভেলায় ভাসবো সারাক্ষণ।
কদমফুলে শিশুরা মাতামাতি, অজান্তেই কতো গানে –
ঠোঁট মিশে হবো সাথী। আরো যে কতো কি! অথচ
কাছে পাওয়া হয়না তোমায়।
উদ্দেশ্য বিহীন পথ তবুও থাকে শেষ,
অপেক্ষার প্রাচীর বেশ অচেনা অবাধ ।
আশা! আশা আরও বেড়ে যায়,
তবুও দেখা হয় না তোমার মুখ।
বন্দী জেলখানায়!