মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাস জনিত কারণে দীর্ঘ সময় ধরে খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। কোন ধরনের ইভেন্টের আয়োজন না থাকায় খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ক্রীড়া সংগঠকরা অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন।
বেকার কর্মহীন খেলোয়াড় ক্রীড়া সংগঠকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারিভাবে খেলোয়াড় ক্রীড়া সংগঠকদের পর্যাপ্ত পরিমান প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে না। কোন কোন সংগঠন থেকে কিছু প্রণোদনা দেয়া হলেও তা একেবারেই নগণ্য।
খেলা থেকে আয় বন্ধ হওয়ায় খেলোয়াড়রা তাদের পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবছে। বাংলাদেশ ফুটবল উন্নয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজু জানায় করোনা জনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের ইভেন্টের আয়োজন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।
কোন ধরনের প্রতিযোগিতা না থাকায় খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। খেলার সাথে সংশ্লিষ্টদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেয়া প্রয়োজন। বেসরকারিভাবে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা উচিত।
আমাদের যুব সমাজকে মাদক থেকে বাঁচাতে একমাত্র খেলা ধুলাই অবদান রাখে। খেলাধুলার মাধ্যমে একটি শিশুর সুপ্ত বিকাশ ঘটে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই খেলোয়ারদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা উচিত। ক্রীড়া সংগঠক নোমি নোমান জানায় ইভেন্ট কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্রীড়া সংগঠকরা মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
সরকারিভাবে খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রণোদনা দেয়া উচিত। অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষক সোহেল রানা জানায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ? সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সকল খেলোয়াড়দের প্রণোদনা দেয়া উচিত। অ্যাথলেটিক্স ক্ষুদে খেলোয়াড় রেখা জানায় করোনা জনিত কারণে তার পরিবারের অভিভাবকরা তাকে মাঠে সেভাবে আসতে দিচ্ছে না। একারণেই খেলায় তার দক্ষতা বাড়ছে না।