শরীয়তপুরে তৃতীয় দিন এর মতো চলছে কঠোর লকডাউন। তিন দিনে এ পর্যন্ত ৪৬টি মামলায় ৬৫,৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন (ইউএনও) এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিন আজ তাই সকাল থেকেই রিমঝিম বৃষ্টির মধ্যে জেলা প্রশাসন এর নির্দেশ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
বৃষ্টির দিন হওয়ায় লোকজনকে খুব একটা বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। তারপরও কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শরীয়তপুরে বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদিপ ঘরাই এর নেতৃত্বে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং ছাতা মাথায় লকডাউন মানাতে কাজ করছেন র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা।
বিশেষ করে পালং উত্তর বাজার সহ মাছের বাজারে যে লোকসমাগম হয় তা সুশৃঙ্খল ভাবে বাজার করাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদিপ ঘরাই বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তা-ঘাটে ঘোরাফেরা, আড্ডা দিলে মামলা এবং জরিমানা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, চলমান লকডাউনে গত দুদিনের মতোই কঠোরতা বজায় থাকবে তাহলেই সংক্রমণের মাত্রা অবশ্যই কমে আসবে।
তাই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। কঠোর লকডাউনের আজ তৃতীয় দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪৬টি মামলায় ৬৫,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের এ পর্যাপ্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ও পুলিশ বাহীনির সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন।
এদিন বিকেল পর্যন্ত দেখা গেছে, আগের দু~দিনের তুলনায় বেড়েছে মানুষের আনাগোনা। শরীয়তপুরের বিভিন্ন অলি-গলিতে অযথা মানুষের ঘোরাঘুরি লক্ষ্য করা গেছে।
তবে জরুরি পরিসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। যারা অযথা রাস্তাঘাটে চলাচল করছেন, সন্দেহভাজন কাউকে পেলেই দাঁড় করিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন।
যুক্তিক কারন না দেখাতে পারলেই করা হচ্ছে জরিমানা।
এবং বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মন্দিপ ঘড়াই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবং লকডাউন মানতে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন এই মহামারি করোনার ভয়াবহতা থেকে বাচতে চাইলে আপনারা ঘড়ে থাকুন নিজে এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখতে চেষ্টা করুন।
আমরা আপনাদের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত রয়েছি কারো কোন সমসস্যা হলে আপনার এলাকার জনপ্রতিনিধি বা আইনশৃঙ্খলা সদস্যদেরকে জানান, আমরা আপনাদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো তবুও অনুরোধ করবো আপনারা ঘড়ে থাকুন ঘড় থেকে বিনা প্রয়োজনে বের হবেন না।