 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    ঈদের দিন ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আপ্যায়নের পুরো খরচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া হলেও বন্টনে সহযোগিতা করার সুযোগ নিয়ে নিজেদের নামে আপ্যায়নের প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে জবি শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের আপ্যায়নের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী।
আজ সোমবার (১৭ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকায় ও ছাত্রী হলে থাকা শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করা হয়। এসময় প্রক্টরিয়াল টিমের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার, মনির হোসেন, কিশোর রায়, মাসুদ রানাসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। খাবার বণ্টনে তাদের সঙ্গে জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঈদের দিন শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করা হয়েছে বলে পোস্ট দিচ্ছেন। কোন কোন পোস্টে জবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য আপ্যায়নের কোনো ব্যবস্থা করেনি মন্তব্য করে ছাত্রলীগ থেকে সব আয়োজন করা হয়েছে বলা হচ্ছে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে প্রশাসন কোনো অর্থায়ন করেনি বলে উল্লেখ করা হয়। জবিয়ান নামে একটি পেজে স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খাসি, পোলা, কোর্মার দাওয়াত দিলেও আপ্যায়নের কোন আয়োজন ই করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের কেউকেই নাকি আজ বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যায়নি।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আপ্যায়ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। দেড় লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে পুরো খরচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে খাবার বন্ঠনে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছিল। খাবার বন্ঠনের সময় আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত ছিল। শিক্ষার্থীরা যারা ক্যাম্পাসে এসেছে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়েছে। ছাত্রী হলেও আপ্যায়ন করা হয়েছে। কেউ যদি বিভ্রান্তি ছড়ায় বিষয়টি বিব্রতকর।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পারছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থী আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য দিচ্ছে। তারা বলার চেষ্টা করছে প্রশাসন আমাদের আপ্যায়নের কথা বলে কোন আয়োজন করে নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের আয়োজনই শুধুমাত্র ছাত্রলীগকে দিয়ে করানো হয়েছে। এ আয়োজনে যত অর্থের প্রয়োজন তা হিসেব করে আমি নিজে ছাত্রলীগের হাতে দিয়েছি এমনকি বাবুর্চি পর্যন্ত ঠিক করে দিয়েছি আমি উপস্থিত থেকে। তারপরও কেন এমন অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে আমার বুঝে আসে না।
এবিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, আমাদের নিজের অর্থায়নে নয়, বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় আমরা শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করিয়েছি। ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থী, ছাত্রী হল, হলের স্টাফ ও তাদের বাচ্চা কাচ্চাসহ সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ শত জনকে আপ্যায়ন করা হয়েছে।