ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। কোরবানির আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই ঈদ-কে সামনে রেখে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা বারবাজার পশুর হাটে জমজমাট বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসতে আসতে জমজমাটভাবে জমে উঠেছে বারবাজার পশুর হাটের পশু কেনা-বেচা।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা বারবাজার বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক, পিক্আপ ভ্যান, নছিমন, করিমন, ছোট ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন ভর্তি করে আসছে গরু ও ছাগল। ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। কালীগঞ্জ উপজেলার বার বাজার পশুর হাট, বারবাজার পশুর হাটে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। মঙ্গলবার ভোর থেকে ঝিনাইদহ জেলাসহ অনন্য জেলা থেকে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেরাসহ বিভিন্ন পশু আসতে শুরু করে। এই সব হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু এসে কানায় কানায় বারবাজার হাট পূর্ণ হয়েছে।
হাটে বিভিন্ন সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ ক্রেতার চাহিদা মাঝারি ও ছোট আকৃতির গরু। কোরবানি পশু কিনতে আসা বরিশাল জেলার সবুর আলী ব্যাপারি বলেন, অধিকাংশ বিক্রেতাই গরুর দাম অনেক বেশি চাইছেন। গত বছর যে সাইজের গরু কিনেছি ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় এ বছর ঠিক সে সাইজের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে এক লাখ থেকে ১লাখ বিশ হাজার টাকা।
তবে এক গরু বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে, কারণ এ বছরের গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতাই গরুর দাম অনেক কম বলছেন। গরু ব্যাপারী মাগুরা উপজেলা থেকে আসা মনির হোসেন বলেন, অন্য বারের তুলনায় এবার ক্রেতারা গরুর দাম কম বলছেন। এখন পর্যন্ত বড় গরুর ক্রেতারা খুবই কম এসেছেন। তবে ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হলেও আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে এই হাটের একপাশে উঠেছে ছাগল। তবে বারবাজারে প্রচুর ছাগল কেনাবেচায় জমে ওঠেছে। ছাগল বিক্রেতা মোঃ রহমত আলী বলেন, গত বারের চেয়ে এই বার বাজারে ৩০ টা ছাগলের মধ্যে ২৮ টা ছাগলই বিক্রি করে ফেলেছি।
গোহাটা সাক্ষাৎকার দেন, বারবাজার হাট পরিচালনা কমিটি সভাপতি ৯নং বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, প্রতি বছরের ন্যায় হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ হাটে কোরবানির পশু ক্রেতা ও বিক্রেতারা কোন ভাবেই প্রতারিত হবে না। সেই লক্ষে মাইক প্রচার, সিসি ক্যামেরা, জাল নোট শনাক্ত মেশিন বসানো হয়েছে এবং নিরাপত্তা পুলিশ সব সময় বারবাজার সহ আশপাশের সকল জায়গা গুলোতে কঠোর পাহাড়ার মধ্য দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে।