ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর ইউনিয়ের চারপাশের পরিবেশ দূষণের মধ্যে ফেলে কোনো ধরনের ভ্যাট, ট্যাক্সের ধার না ধেরে দিব্যি চলছে ড্রামচিমনিওয়ালা ইটভাটা।
নীতিমালা লঙ্ঘন করে লোকালয় ও কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে এই ইটভাটা। জমির মাঠে গড়ে তুলেছে অবৈধ ড্রাম চিমনীর ইট ভাটা।
কোটচাঁদপুর উপজেলা সরজমিনে তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, অত্র এলাকায় কৃষকদের তীব্র আপত্তি থাকা সত্বেও সাবদারপুর ইউনিয়নের দূর্বাকুন্ড গ্রামে জৈনক মোঃ তুহিন হোসেন নেতৃত্বে চলছে অবৈধ ইট ভাটা।
ভাটার স্থলে গিয়ে দেখা যায় ইট ভাটার সব কিছুই অনিয়মতান্ত্রিক ও ভাটা নির্মানে মানা হয়নি বাংলাদেশে সরকারের কোন নিয়ম নীতি।
এখানে ফসলি জমি নষ্ট করে জবর দখল করে ইট ভাটা নির্মান করেছে আইন কে তোয়াক্কা না করে ইট ভাটায় ড্রাম চিমনী ব্যবহার করেছে। দেশীয় বিভিন্ন প্রকার গাছ ইট পোড়ানোর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যেখানে কয়লা দ্বারা ইট পোড়ানোর কথা। মুঠো ফোনে কথা বলা হয় ইট ভাটার মালিক পক্ষের একজন যিনি ওই ইউনিয়নের তুহিনের ইট ভাটার ব্যবসায়ী অংশিদার।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার ২০২০ সালে ইট ভাটা নির্মানের জন্য অনুমোদন পেতে ঝিনাইদহ জেলা ফায়ার সার্ভিস অফিস ও ঝিনাইদহ অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। তারা এখনো কোন অনুমতি দেয়নি।
তবে আমি সরকারী আয়কর পরিশোধ করে ভাটা চালাচ্ছি, কোন মতে। তবে এটা মাঠের ভিতরে সমস্যা কোথায়? ভাটায় কর্মরত শ্রমিক অনেকেই নাম না প্রকাশ করায় শর্তে সাংবাদিকদের জানান, ২ বছর ধরে এই মাঠে ইট ভাটা নির্মান এবং ইট পোড়ানোর কাজ চলছে।
ইট ভাটার চার পাশে ফসলি জমির বিশাল মাঠ। মাঝ খানে এই ভাটা চলছে, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করে কি ভাবে ভাটা চালানো হচ্ছে সেটা আমাদের জানা নেই। যাহা পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকি ও ক্ষতিকর।
ড্রাম চিমনী ইট ভাটার নির্মান এবং যে ভাটায় গাছ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয় সেটা কতোটা আইন সম্মত? এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকা বাসি সহ কৃষকদের দাবি।
অবৈধ এই ইট ভাটা উচ্ছেদ করে ফসলি জমিকে ধংসের হাত থেকে রক্ষা ও পরিবেশকে দুষন মুক্ত করতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কতৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকা বাসী।