যেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কথা বলে বর্তমান সরকার পরপর ৩ বার ক্ষমতায় এসেছে এবং আছে, সেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অন্যতম মাধ্যম অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করাটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন অনলাইন প্রেস ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।
১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এতে কার্যকরী সভাপতি এ্যাড. নূরনবী পাটোয়ারী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক লিটন গাজী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন অনলাইন প্রেস ইউনিটির ৪ দফা বাস্তবায়নে সংবাদযোদ্ধাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। আর সেই ৪ দফা হলো- ১. ১০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা-স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রমাণিত সংবাদযোদ্ধাদের দক্ষতার আলোকে সহজ শর্তে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন প্রদান এবং অনলাইন-প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদযোদ্ধাদের মধ্যে দেশবিরোধী-দুর্নীতিবাজ ও ভূঁইফোরদেরকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে থানা-জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। ২. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মী বান্ধব আইনী প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে। ৩. থানা ও জেলা পর্যায়ের সংবাদযোদ্ধাদেরকে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা মাসে সরকারীভাবে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. সাগর-রুণী ও মুজাক্কির সহ সকল সংবাদকর্মী হত্যার বিচার বাস্তবায়নের পাশাপাশি সংবাদযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় করা রাজনীতিকদের মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এসময় মোমিন মেহেদী বলেন, নতুন প্রজন্মের প্রকৃত প্রতিনিধিরা সংবাদযোদ্ধাবান্ধব বাংলাদেশ দেখতে চায়। আর তাই সংবাদযোদ্ধাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভাগাভাগি বন্ধ করে সাংবাদিক ইউনিয়নকে একটি ব্যানারে রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, সংবাদযোদ্ধাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন মাসে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের টিএসসিতে আত্মপ্রকাশ করে অনলাইন প্রেস ইউনিটি।
যে কোন সংবাদযোদ্ধা সদস্য হতে চাইলে নাম+ঠিকানা+বয়স-কর্মরত সংবাদমাধ্যমের নাম লিখে ০১৭৯৫৫৬৮১৩৭ নম্বরে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএস-এ সদস্য নম্বর জানিয়ে দেয়া হবে।