সার্বজনীন পেনশন স্কিমের নতুন প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু লোকদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান। এখানে একটা জাতিকে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এই প্রত্যয় স্কিমকে অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন ও ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের জারিকৃত সার্বজনীন পদ্ধতি অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু কিছুদিন আগে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রত্যয় নামে নতুন পদ্ধতি চালু করেছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীকে বাদ রেখে শুধুমাত্র স্বায়ত্বশাসিত, রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, যদি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই প্রত্যয় স্কিম মেনে চেলে, তাহলে আমরাও তা ভেবে দেখবো। এখানে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়া হয়েছে আমাদেরকে। এই প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু লোকদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে একটা জাতিকে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এই প্রত্যয় স্কিমকে অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে সার্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আওতামুক্ত রাখার দাবিতে ১ই জুলাই থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার ছিলো কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন। আগামীকাল ৩ই জুলাই (বুধবার) শেষ হবে টানা তিনদিন পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি। এর পরে দাবি আদায় না হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।