আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: করোনা যুদ্ধে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ফরিদপুরে বোয়ালমারী। আজ পহেলা জুন সুস্থ হয়েছে আরও ১৪জন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে।
আজ সকাল ১০টায় উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়া গ্রামের নিজবাড়িতে আইসোলেশনে থাকা ১২ জন ও উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের বনমালীপুরের ১ জন ও ঘোষপুর ইউনিয়নের পাইকহাটি গ্রামের ১ জনসহ একদিনে মোট ১৪ জনের হাতে করোনা মুক্তির সনদপত্র তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান, চতুল ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের (একাংশ) আহবায়ক শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু প্রমুখ। উল্লেখ্য গত ৫ মে ধুলপুকুরিয়ায় মৃত শ্রীবাসের স্ত্রী শিখা রায়ের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
১০ মে একই পরিবারের আরও ৫ জন আক্রান্ত হয় এবং তাদের সংস্পর্শে আসায় আরও ৭ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এ নিয়ে গ্রামটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ জনে। প্রশাসনিকভাবে গ্রামটি লকডাউন করে দেয়া হয়। সোমবার করোনামুক্ত সনদ প্রদানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চতুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু।
করোনামুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ধুলপুকুরিয়া গ্রামের শিখা রায়, অসিত রায়, সাগরিকা রায়, তমা রায়, হাসি রানী, তাপস কুমার রায়, তন্ময় রায়, আরতি রায়, ইতি রায়, সুকুমার রায়, বিজন রায়, উলকান্ত। এছাড়া রুপাপাত ইউনিয়নের বনমালীপুর গ্রামের কামরুল শেখ এবং ঘোষপুর ইউনিয়নের পাইকহাটি গ্রামের আশা রানী দাস।
এর আগে রুপাপাত ইউনিয়নের পুতন্তীপাড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী দুই সহোদর সুমন ও রোমান, গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর-চন্দনি গ্রামের সাহাবুদ্দিন ও বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের কালিয়ান্ড গ্রামের রেদোয়ান আহমেদ করোনামুক্ত হয়। এ উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ জন।
যার মধ্যে মারা গেছেন ২ জন, নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩ জন, ১ জন পলাতক ও ফরিদপুরের উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫ জনকে প্রেরণ করা হয়েছে যার মধ্যে ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেছেন, বাকি ৩ জন কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।