সাইফুল খান, সোনারগাঁ ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে বক্তব্য রাখায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সোনারগাঁও উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি শওকত ওসমান সরকার রিপন।
রিপন সরকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অসম্মান করে আলী হায়দার যে বক্তব্য মিডিয়ার সামনে করেছে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি তা মেনে নিতে পারছি না।
শুধু আমি একা নই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যার বিরুদ্ধে কথা বললে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী তা মেনে নেবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগের এই নেতা সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আলী হায়দারকে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করে আজীবনের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
শওকত ওসমান সরকার রিপন বলেন, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার তার বক্তব্যে একদিকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আব্দুর মাজেদের লাশ সোনারগাঁও থেকে অপসারণের দাবি করছে ।
অন্যদিকে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জনো নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আলী হায়দার ।
এটা কখনোই মেনে নেওয়ার মতো না, তিনি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে, শেখ হাসিনার কোনো কর্মী তা মেনে নিতে পারে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিবেন অবশ্যই দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য নিবেন।
শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানানোর মত এমন দুঃসাহস সে কোত্থেকে পায় ? আমার মনে হচ্ছে এর পিছনে স্বাধীনতা বিরোধী কোনো অপশক্তি কাজ করছে,যা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ।
এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে সে চরম বেয়াদবি করেছে। এই বেয়াদবির শাস্তি তাকে দেয়া না হলে তার মতো অনেকেই বেয়াদবি করার সাহস পাবে।
তাই আমি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সংগঠনের নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ করবো অনতিবিলম্বে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার কে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য। এসময় শওকত ওসমান সরকার রিপন আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ও সোনারগাঁও সন্তান হিসেবে
আমিও চাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকারী ক্যাপ্টেন আব্দুর মাজেদের লাশ অপসারণ করে সোনারগাঁও কে কলঙ্কমুক্ত করা হোক । শুধু আমি একা নই, এ দাবি নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি স্বাধীনতার স্বপক্ষের মুক্তিকামী মানুষের দাবী। তবে এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি কোনো সিদ্ধান্ত দেয় তাও আমাদের নিতে হবে।
সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সত্যিই অশোভনীয়।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এমন বক্তব্য দিয়ে সে সংগঠনের নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। শীঘ্রই বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১২ এপ্রিল) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদাকে (বহিষ্কৃত) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নে হোসেনপুর তার শ্বশুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের প্রতিবাদে বক্তব্যে আলী হায়দার বলেন, যদি কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে আমরা সরকারি সিদ্ধান্তকে বয়কট করি।
এই লাশ উঠিয়ে নিয়ে প্রয়োজনে পানিতে ভাসিয়ে দিবো কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিকে সোনারগাঁওয়ে আমরা জায়গা দিতে রাজি না, প্রধানমন্ত্রী যদি এই সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই।
এই বক্তব্যের টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকে সোনারগাঁও সহ জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে।