1. admin@dailyshadhinbarta.com : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিনাজপুরে ২১০ রাউন্ড গুলিসহ ১৭টি আগেন অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে সকল কর্মস্থল থেকে ভারতীয় নাগরিকদের প্রত্যাহারের দাবি জবিতে শত, সাহসি ও যোগ্য ভিসি চান শিক্ষরা বাংলাদেশী ইলিশ না পেয়ে বিপাকে ভারতীয়রা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য রেজাউল করিম লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সাড়ে ৪ কোটি টাকা প্রদান করে আশা আজ মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ পহেলা অক্টোবর মধ্যে গুচ্ছ’র ক্লাস শুরুর দাবি সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ নিহত হয়েছে কাজীপাড়া ও মিরপুরের মেট্রো স্টেশন সেপ্টম্বরেই চালু হচ্ছে লোহাগাড়ায় পুকুরে পড়ে তৌছিপ নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে লোহাগাড়াতেও যানজটে অতিষ্ট নগরবাসি সংবাদ প্রকাশের পর জগন্নাথে হলের দখল ছেড়েছে ছাত্রদল

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিকসহ গোল্ডেন হক নামের জাহাজ জিম্মি

স্বাধীন বার্তা রিপোর্টঃ
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪

গতকালকে বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজটি তাদের নিজ জিম্মায় নিতে সক্ষম হয়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের এই জাহাজটি পরিচালনা করছে গ্রুপটির সহযোগী সংস্থা এস আর শিপিং লিমিটেড। জাহাজে আতিক উল্লাহসহ ২৩ বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। তাঁরা জিম্মি হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নাবিকদের স্বজনদের।

আতিকের বাড়ি চন্দনাইশের বরকল এলাকায়। মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকেন শহরের নন্দনকানন এলাকায়। মা শাহানুর আকতার ছেলের চিন্তায় অস্থির। তিনি কখনো কাঁদছেন, কখনো-বা নামাজে দাঁড়িয়ে ছেলের জন্য দোয়াদরুদ পড়ছেন।

শাহানুর বলেন, মাগরিবের সময় ছেলের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়। তখন আতিক তাঁকে বলেছেন, তাঁদের ৫০ জন জলদস্যু ঘিরে রেখেছে। একটা কেবিনে বন্দী সবাই। তাঁদের সোমালিয়া নিয়ে যাচ্ছে। আড়াই দিনের মতো লাগবে ওখানে পৌঁছাতে। সবার জন্য দোয়া চেয়েছেন আতিক।

কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহানুর। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে ছেলের জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ার কথা জানতে পারেন শাহানুর।

‘জলদস্যুরা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে, আর কথা হবে না।’ এ কথা বলতে বলতেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটাই ছিল মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফারজানা সুলতানার শেষ কথা।

শামসুদ্দিন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অয়েলার পদে কর্মরত। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। এতে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। তাঁরা জিম্মি হওয়ার খবর পাওয়ার পর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নাবিকদের স্বজনদের।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।

গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি অডিও বার্তায় জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান বলেন, ‘জাহাজে তখন সকাল সাড়ে ১০টা। গ্রিনিচ মান সময় ৭টা ৩০ মিনিট (বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টা)। এই সময় একটা হাই স্পিডবোট আমাদের দিকে আসতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আল্যার্ম দিই। আমরা সবাই ব্রিজে গেলাম। ক্যাপ্টেন স্যার আর জাহাজের দ্বিতীয় কর্মকর্তা ব্রিজে ছিলেন তখন। আমরা এসওএস (জীবন বাঁচানোর জরুরি বার্তা) করলাম। ইউকে এমটিওতে (যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন) যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তারা ফোন রিসিভ করেনি। এরপর ওরা (জলদস্যুরা) চলে এল।’

অডিও বার্তায় আতিক উল্লাহ খান বলেন, ‘তারা (জলদস্যুরা) ক্যাপ্টেন স্যার ও দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে ঘিরে ফেলল। আমাদের ডাকল। আমরা সবাই এলাম। এ সময় কিছু গোলাগুলি করল। সবাই ভয় পেয়েছিলাম। সবাই ব্রিজে বসে ছিল। তবে কারও গায়ে হাত দেয়নি। এ সময় একটা স্পিডবোটে আরও কয়েকজন চলে এল। এভাবে ১৫-২০ জন এল জাহাজটিতে। কতক্ষণ পর একটি বড় ফিশিং ভেসেল (মাছ ধরার নৌযান) এল। ওটা ছিল ইরানের মালিকানাধীন মাছ ধরার জাহাজ, যেটিকে এক মাস আগে তারা জিম্মি করেছিল। মাছ ধরার জাহাজটি দিয়ে তারা সাগরে জাহাজ খুঁজতেছিল। এখন ওই মাছ ধরার জাহাজ ছেড়ে দেবে। তবে সেটির জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। এখন আমাদের থেকে ডিজেল নিচ্ছে। আমাদের জাহাজটি থামিয়েছে তারা। জাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2020-2022 Daily Shadhin Barta