যশোরের শার্শার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইরি-বোরো ধানের জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ভোরে কোদাল-কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা।
এ বছর যশোরে মানসম্পন্ন ইরি-বোরো ধানের চারা উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। যার ফলে ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও বেশি উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর।তবে কৃষক চিন্তিত- কনকনে শীত ও শৈত্যপ্রবাহে ইরি -বোরোধানের বীজতলা নষ্ট হওয়া ও কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে।
সরেজমিনে উপজেলার বাহাদুরপুর, লক্ষণপুর, উলাসী,বেনাপোল ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন, জমি প্রস্তুত করতে এখন ব্যস্ত তারা।বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক এখন ধানের চারা রোপণের জন্য জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ মই-কোদাল দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন।কেউ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে করছেন জমি চাষের কাজ। আবার কেউ জমিতে সেচ ও জমির আইল বাঁধছেন।
জানা যায়, বর্তমান আবহাওয়া ইরি- বোরো বীজ বোপনের উপযোগী থাকায় যশোরের সব উপজেলায় বীজতলার কাজের পর এখন জমি তৌরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শার্শার কৃষি অফিসের সূত্র মত মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এবার ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপসহকারী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও মোঃ হাসান আলী বলেন,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ইরি-বোরো চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।পুরো ইরি-বোরা আবাদ মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকলে ও কীটপতঙ্গ এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ কোনো রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় না দেখা দিলে এবার যশোরে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।