গোপাগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন এর কাচিকাটা গ্রামের মধু বাড়িতে স্থানীয় প্রভাবশালি কর্তৃক এক অসহায় সনাতনী ধর্মের এক নারীর উপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। খোজ নিয়ে যানা যায়, স্বামী মৃত ব্রজেন হালদারের স্ত্রী শেফালি হালদার (৫০) তিনি তার নিজস্ব একটি গাছ বিক্রি করতেছিলেন।
এই ঘটনায় স্থানিয় ইউনুস শেখ (৬০) এর ছেলে মিটুল শেখ (৩৩) ও তার আর এক ছেলে বিল্পব শেখ (৩০) তাকে গাছ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কথাকাটাকাটির একপর্যায় ওই নারীর গায়ে হাত তোলে মুখের মধ্যে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এতে ওই নারীর একটি দাঁত ভেঙে যায় এবং ঘটনা স্থলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
পরে ওই নারীর ছোট মেয়ের আর্তনাদে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই নারীর কোন ছেলে নেই, বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়েকে নিয়েই বসবাস করেন। তিনি জানান, বর্তমানে আতংকিত অবস্থায় এবং প্রান নাশের ভয়ে হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ি না গিয়ে বড় মেয়ের শশুরবাড়ি গিয়ে থাকতে হচ্ছে।
এই বিষয় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। উক্ত ঘটনার বিষয়ে অপরাধ দমনে মানবধিকার সংগঠন (স্কফ) এর গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক রঈস উদ্দীন সাকিব বলেন, ভুক্তভূগি নারীকে আইনী সহায়তা সহ আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাবো।
অভিযোগের বিষয়ে (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। যারা এই অপরাধ করেছেন তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসতে হবে। ভুক্তভোগী মহিলা হিন্দু সম্প্রদয়ের হওয়ায় কি তার ওপর এমন নির্যাতন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এমন কোন বিষয় নেই। আইনের কাছে সবাই সমান। ভুক্তভোগী যে ধর্মেই হোক না কেন তাকে আইনের সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য ও দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর অপরাধী যতটাই প্রভাবশালী হোক না কেন, অপরাধ করে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
তার কাছে আবারো প্রশ্ন করা হলে, আহত নারী প্রাণ ভয়ে নিজ বাড়িতে যেতে পারছেনা, অন্যত্র থাকছেন। এ বিষযে তিনি বলেন, আহত মহিলাটিকে সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং আমরা থানা থেকে কয়েকবার পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি পূণরায় যেন এমন কোন ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।