আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জমি চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে দাগনভূঞা উপজেলায় চীনা বাদাম চাষে সারা ফেলেছে কৃষকদের। প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলায় আবাদ হয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের চীনা বাদাম। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এবার আবাদ বেশি হয়েছে।
উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন ও জগতপুর গ্রামে কৃষকদের বাড়িতে দেখা গেছে বাদাম। জমিতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে কৃষক শাহজালাল ৩০ শতক, লিয়াকত আলী ২০ শতক, সিরাজ উল্লাহ ১০ শতক ও জগৎপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন ৪০ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ করছেন। এছাড়াও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক বাদাম চাষ করে সফল হয়েছেন।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সফিক উল্যাহ বলেছেন, সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পৌরসভা ব্লকের উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ করার জন্য কৃষকদের প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগী কৃষকদের বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, চীনাবাদাম একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী ফসল।গত বছরের তুলনায় এবার চীনাবাদামের আবাদ দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। এটি একটি উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ।উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে চীনাবাদামের ফলন বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।